শীতের সময় সুস্থ থাকার ৯টি সহজ উপায়
শীতে সুস্থ থাকার জন্য আমরা সব রকমের চেষ্টা করি। তারপরেও নানা রকম রোগব্যাধিতে আমরা আক্রান্ত হই। এই শীতের সময় সুস্থ থাকার ৯টি সহজ উপায় জেনে নিন।
-
ধুনিয়া: শীতে অনেকের পেটে সমস্যা হয়। ধুনিয়া পেট, অন্ত্র এবং নার্ভকে শান্ত রাখে। তাছাড়া জটিল মাথাব্যথা অর্থাৎ মাইগ্রেন সারতেও ভূমিকা রাখে। এক চামচ শুকনো ধনে ফুটন্ত পানিতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পর তা ছেঁকে একটু মধু মিশিয়ে পান করুন, হালকা বোধ করবেন।
-
মৌরি: শীতকালে আধা চামচ মৌরি চা ১০ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে দিনে কয়েকবার পান করলে পেট এবং শ্বাসনালীর সমস্যা দূরে থাকে।
-
আদা: আদা কাশি, পেটের সমস্যা এবং বমি-বমি-ভাব দূর করতে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। বড় এক টুকরো আদা এক লিটার পানিতে ঘণ্টাখানেক ফুটিয়ে ২৪ ঘণ্টা পর ছেঁকে বোতলে ঢেলে রাখুন। তারপর কয়েকদিন ধরে অল্প অল্প করে পান করুন, যা পেটের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করবে।
-
এলাচ: এলাচ পেটকে শান্ত রাখে, নিঃশ্বাস দুর্গন্ধমুক্ত করে। এমনকি এই ক্ষুদ্র এলাচ দানা চিবোলে নাকি মানুষের মনও ভালো হয়ে যায়।
-
জায়ফল: জায়ফলের ভেতরের শক্ত দানা গুঁড়ো করে খেলে ইনফেকশন এবং বাত ও গেঁটে বাতের ব্যথায় খুবই উপকারী। জায়ফল খাওয়ায় রুচি বাড়াতেও সাহায্য করে, তবে পরিমাণে খুবই কম খেতে হয় অর্থাৎ মাত্র এক চিমটে।
-
লবঙ্গ: লবঙ্গ মাইগ্রেন অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় এবং খুশখুশে কাশি দূর করে। লবঙ্গের ঝাঁঝ শরীরে উদ্দীপক হিসেবেও কাজে করে।
-
জাফরান: এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটে জাফরান দিয়ে দু’মিনিট গরম করে পান করে নিন। এই শীতে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য তাদের সাহায্য করবে জায়ফল। জাফরান হালকা হৃদরোগের সমস্যায়ও নাকি অনেক সময় উপকারে আসে।
-
দারচিনি: দারচিনি শুধু খাবারে সুন্দর মিষ্টি ঘ্রাণই ছড়ায় না। এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ার উপাদান, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।
-
গোলমরিচ: গোলমরিচ হাড়ের ব্যথা, স্ট্রেস এবং নার্ভাসনেস দূর করতে সাহায্য করে থাকে। ভালোভাবে গরম করা একমুঠো গোলমরিচ একটি কাপড়ে নিয়ে তা ব্যথার স্থানে কিছুক্ষণ ধরে রাখলে বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।