ভুলেও যেসব কথা জীবন সঙ্গীকে বলবেন না
বিবাহিত জীবন কিভাবে সুখের করা যায় এর সঠিক জবাব কেউ দিতে পারবে না। দু’জন মানুষের একত্রে বসবাসের যে রসায়ন, তাতে কোনো নিয়মই আলাদা করে কিছু নির্ধারণ করতে পারে না। ভালো থাকার তাই কোনো ফর্মুলা নেই। তাই সম্পর্ককে আজীবন বাঁচিয়ে রাখতে কিছু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হয়।
-
‘সংসার জীবন যেন অনেকটাই ক্রিকেট ম্যাচের মতো। কোনো বল ছাড়ব, আর কোন বল মারব, সে হিসেব গুলিয়ে গেলেই ভেস্তে যেতে পারে শান্তি। তাই সঙ্গীর কাছে সৎ থাকতে হবে তো বটেই, কিন্তু খুচখাচ অশান্তি এড়াতে কী কী বলা উচিত হবে না, সেটা জানাও খুব জরুরি’,- বলে মনে করেন মনোবিদরা। তাই সুখে থাকতে চাইলে সঙ্গীকে কিছু কথা কখনও বলা যাবে না।
-
বিশেষ করে ঝগড়া বা অশান্তির সময় মাথা গরম করে এমন কিছু আমরা বলে ফেলি, যা গড়ায় বহু দূর। হয়তো আজীবন তৈরি হয়ে যায় কিছু ক্ষত। সেসব যে খুব মুছে ফেলা যায় এমনও নয়। তাই খেয়াল রাখুন কিছু বিশেষ কথার সময়।
-
অনেক সম্পর্কের শুরুই খুব মসৃণ হয় না। হয়তো তখনই বিয়েটা করতে প্রস্তুত ছিলেন না আপনি। বাড়ির জোরাজুরিতেই বিয়েটা সারতে হয়েছিল, তবু এ কথা সঙ্গীকে না বলাই ভালো। বিয়েটা করে ফেলার পর এ সব বললে তিনি অপমানিত হতে পারেন। যার সঙ্গে আজীবন সুখে থাকাই লক্ষ্য, তাকে ছোট করা বা অমর্যাদা করার প্রয়োজন নেই।
-
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কথায় কথায় ভালোবাসার ঘোষণা বা প্রেমের বহিঃপ্রকাশ কমতে থাকে অনেক সম্পর্কেই। কোনো বিষয়ে মনান্তর এলে দ্রুত তা মিটিয়ে ফেলুন। একান্তই যদি বোঝেন যে এই সম্পর্ক আর টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তা হলে দু’জনে বসে শালীনভাবেই কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিন। তবে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় বিবেচনা করুন আনুষঙ্গিক নানা দিক।
-
সারা দিনের শ্রম, অফিসের চাপ, গাড়িতে বাদুড়ঝোলা হয়ে বাড়ি ফেরার পর সব রাগ গিয়ে পড়ে সঙ্গীর উপর? এই অভ্যাস দ্রুত বদলান। সঙ্গীও সারা দিনের চাপ, শ্রম এগুলো সামলেই বাড়িতে ফেরেন বা বাড়ির নানা কাজেও তাকে বিভিন্ন চাপ নিতে হয়। কাজেই এ সব দুর্ব্যহার থেকে সরুন।
-
কোনো সম্পর্ক তৈরি হলে তা পুরনো সঙ্গীকে জানানোর সৎ সাহস বেশির ভাগেরই থাকে না। এই সাহস থাকলে সঙ্গীকে বুঝিয়ে বলুন ও সৎ ভাবেই প্রথম সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন। কিন্তু তা করতে না পারলে নতুন সম্পর্ক ও পুরনো সম্পর্ককে একসঙ্গে কতটা সম্মান করে চলতে পারবেন তা বুঝে এগোন। কিন্তু কোনোভাবেই আপনার দুর্ব্যবহারের শিকার যেন সঙ্গী না হন।
-
সিরিয়াস কোনো সম্পর্কে হয়তো জড়াননি। কিন্তু কারও প্রতি হালকা ব্যথা রয়েছে মাত্র। এমন ঘটনাও নতুন নয়। তবে সেই সব ক্রাশ যদি সঙ্গী হালকা চালে নিতে না পারেন, ভুল বোঝাবুঝি বা সন্দেহ বাড়তে থাকার শঙ্কা থাকে, তা হলে সেই ফ্যান্টাসি বা ক্রাশের কথা না জানানোই ভালো।
-
সঙ্গীর কোনো কাজের সঙ্গে আপনার প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার তুলনা টানবেন না। কোনো প্রসঙ্গে প্রাক্তন সঙ্গীর প্রশংসা বা তিনি আপনাকে বর্তমান সঙ্গীর তুলনায় বেশি ভালো বুঝতেন- এ সব আপত্তিজনক ও বিতর্কের বিষয় এড়িয়ে চলুন।
-
প্রাক্তন সঙ্গীর সঙ্গে আপনার কোনো শারীরিক সম্পর্ক ঘটে থাকলে, স্বচ্ছ থাকতে তা বর্তমান সঙ্গীকে জানাবেন কি না তা আপনাদের নিজস্ব বোঝাপড়ার বিষয়। কিন্তু সঙ্গীর সঙ্গে কখনওই সেই সম্পর্ক নিয়ে মাতামাতি করবেন না। পূর্বের শারীরিক বা মানসিক সম্পর্ক নিয়ে খুব বেশি আলোচনাও অনুচিত। তা সঙ্গীকে কষ্ট দেয়।
-
খুব ছোট ছোট বিষয়ে তার সমালোচনা করবেন না। কোনো মানুষই নিখুঁত নয়। তাই সঙ্গী সব কিছুতে ‘পারফেক্ট’ হবেন এমন ধরে নেওয়া বোকামি। কারণ, আপনি নিজেও পারফেক্ট নন।
-
ঝগড়া বা অশান্তির সময় কথায় কথায় ছেড়ে চলে যাওয়া বা বিচ্ছেদের কথা কখনো বলবেন না। যে কোনো সম্পর্কে এটা খুব অপমানজনক। সঙ্গীকেও চলে যেতে বলা বা সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা সরাসরি বললে তিনি অপমানিত হবেন। কাজেই খেয়াল রাখুন সেই দিকটিও।