যেসব খাবার খেলে মৃত্যুও হতে পারে!
পর্যাপ্ত পুষ্টি ও সুস্থ সবল দেহে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ খাবার খায়। কিন্তু কিছু কিছু খাবার নিয়ম মেনে না খেলে মৃত্যুও হতে পারে। এবার জেনে নিন যেসব খাবার খেলে আপনার মৃত্যু হতে পারে।
-
রাস্তার খাবার খেয়ো না, পেট খারাপ হবে! বা কাঁচা দুধ পান করা উচিত নয়। এমন সাবধানবাণী তো অনেককেই শুনতে হয়। তবে জানেন কি, চিনাবাদাম থেকেও বিপদ আসতে পারে বা কোন মাছ সঠিকভাবে রান্না না করা হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে?
-
কাঠবাদাম খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। ব্রেকফাস্টের সঙ্গে হোক বা হাল্কা স্ন্যাক্সের সঙ্গে, কাঠবাদামের জুড়ি মেলা ভার। তবে অনেকেই সুইট আমন্ডের বদলে বিটার আমন্ড খেতে বেশি পছন্দ করেন। তবে এতে যে সায়ানাইড রয়েছে, তা জানেন কি? প্রসেসিংয়ের সময় সেই সায়ানাইড বার না করলে সেই বিটার আমন্ড খেয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
-
রোজকার খাবারে মাশরুম না হলে চলে না? তা খান! তবে ডেথ ট্যাপ-এর মতো ওয়াইল্ড মাশরুম খেতে যাবেন না যেন। বনেবাদাড়ে এটি মেলে। না জেনেবুঝে ওই মাশরুম খেলে পেটব্যথা, বমি হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এমনকি হার্ট, লিভার বা কিডনি বিকল হতে পারে।
-
ড্রাই ফ্রুট হিসাবে কাজুবাদামের জুড়ি মেলা ভার। তবে খোলা ছাড়িয়ে কাঁচা কাজুবাদাম খেতে যাবেন না যেন। তাতে অ্যালার্জি হতে পারে। আসলে, কাঁচা কাজুবাদামের খোলায় থাকে অ্যানাকার্ডিক অ্যাসিডের মতো রাসায়নিক। খোলা ছাড়ানোর সময় তা কাঁচা কাজুবাদামে মিশে যায়। সঠিক তাপমাত্রায় রোস্ট না করলে তা কাজুর গা লেগে থাকবে।
-
কোরিয়ায় বেবি অক্টোপাস খাওয়াটা বেশ অ্যাডভেঞ্চারের। কারণ, পরিবেশনের কয়েক সেকেন্ড আগেও তা জ্যান্ত রাখা হয়। সান্নাকজি নামের ওই ডিসটি সুস্বাদু হলেও প্রাণঘাতী হতে পারে। কারণ, ভালো মতো না চিবিয়ে খেলে বেবি অক্টোপাসের সাকশন কাপগুলো গলায় লেগে থেকে শ্বাসরোধ করে দিতে পারে। ফি বছরে সান্নাকজি খেয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে কোরিয়ায়।
-
জামাইকার জাতীয় ফল আকি খেতে হলে একটু সাবধান। আকিতে রয়েছে হাইপো গ্লাইসিন নামের বিষ। বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত ফল এটি। কারণ, পুরোপুরি পাকার আগে ওই ফল খেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বা কোমায় চলে যেতে পারেন। একমাত্র পাকা আকির বীজের চারপাশের হলদেটে অংশটাই খাওয়া যেতে পারে।
-
ময়দানে ঘোরাফেরার ফাঁকে চিনেবাদাম ভাজা কিনে তো অনেকেই খান। তবে তা-ও কিন্তু ভয়ের কারণ হতে পারে। অবশ্যই যাদের ফুড অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের জন্য এই সতর্কবার্তা। চিনেবাদাম খেয়ে ফুড অ্যালার্জি হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে অনেকের।
-
ইকোলি, সালমনেল্লা বা লিস্টেরিয়া ব্যাকটেরিয়া সহজেই বাসা বাঁধে বিন স্প্রাউটে। সাধারণত উষ্ণ এবং আর্দ্র পরিবেশে জন্মানো বিন স্প্রাউটেই ওই ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি হয়। ২০১১ সালে ইউরোপে ইকোলির ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপেই মৃত্যু হয়েছিল ২২ জনের। অনেকের মতে, জার্মানিতে চাষ করা বিন স্প্রাউট থেকে ছড়িয়েছিল ইকোলি।
-
দুধ ভালোভাবে না ফুটিয়ে কাঁচা পান করাটাও বিপজ্জনক হতে পারে। কাঁচা দুধ থেকেই অনেকে চিজ তৈরি করেন। তবে পাস্তুুরাউজ (উচ্চ তাপমাত্রায় দুধ ফুটিয়ে তা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করা) না করে সেই দুধ থেকে চিজ তৈরি করা হলে তাতে ইকোলি, সালমনেল্লা বা লিস্টেরিয়া ব্যাকটেরিয়ার জন্মাতে পারে। ফলে দুধ ফুটিয়ে খান।
-
ডেইলি মেল জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত ফুগু মাছ খেয়ে ফি বছরে মৃত্যু হয় ৩০-৫০ জনের। এর ডিম্বাশয়-অন্ত্র-লিভারে টেট্রোডোটক্সিন রয়েছে যা সায়ানাইডের থেকেও ১২০০ গুণ বিষাক্ত। পেশি অবশ করে শ্বাসরোধও করতে পারে তা। ফুগু রান্নার আগে দু’বছরের ট্রেনিং ও পরীক্ষা দিতে হয় শেফদের। তবে দু’তৃতীয়াংশই ওই পরীক্ষায় ফেল করেন।