যে ভুল পদ্ধতিতে মেদ ঝরাতে চাইলে উল্টো আরও মেদ বাড়বে
মেদ নিয়ে চিন্তায় অনেকেই চিন্তায় আছে। ইউটিউব খুলে রোগা হওয়ার নানা উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন প্রায়ই। একটু এদিক-ওদিক নিয়ম ভাঙলেই আতঙ্ক, এই বুঝি শরীরে জমে গেল মেদ! মাঝে মাঝেই ওজন নেওয়া, আয়নায় দেখে নেন আরও মুটিয়ে গেলেন কি না। এবার জেনে নিনযে পদ্ধতিতে মেদ ঝরাতে চাইলে উল্টো আরও মেদ বাড়বে।
-
মোটা হওয়ার শঙ্কা দূর করতে তাই নিজের মতো করেই সাজিয়ে নিয়েছেন রুটিন। কিছু কিছু স্বভাব ছেড়ে দিতে হবে। নতুন করে রপ্ত করেছেন কিছু অভ্যাস। কিন্তু জানেন কি, যে সব অভ্যাস আয়ত্তে আনছেন, তার অনেকগুলোই আসলে কোনো কাজেই আসে না মেদ কমাতে, উল্টে ক্ষতি করে শরীরের।
-
অনেকে মেদ কমানোর জন্য দুপুরের খাওয়া বাদ দেন। আমাদের ধারণা, ওইটি বাদ দিলেই যোগ হওয়া বাড়তি মেদ ঝরানোর পথে এগিয়ে থাকবে শরীর। তবে বিভিন্ন গবেষণা ঠিক তার উল্টো কথা বলছে। বরং দুপুরের খাবার বাদ দিলে অবধারিত ভাবে পেটে জমবে মেদ! তাই পরিমাণে অল্প হলেও দুপুরের খাবার বাদ দেওয়া চলবে না।
-
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের অনেক গুণ। মেদ ঝরানোর কাজেও ওস্তাদ। তাই খাওয়ার আগে এক-দু’চামচ ভিনিগার খেয়ে ফেলেন। ভাবেন, এতে খাবারের ফ্যাট দ্রুত গলিয়ে ফেলা সম্ভব। না, এমন সহজ উপায়ে ফ্যাট গলে না। উল্টে ঘন ঘন ভিনিগারে শরীরে অম্লের পরিমাণ বাড়ায়। যকৃত ও গলায় নানা সমস্যাও দেখা যায়। বরং দিনে এক বার সালাদে ভিনিগার মিশিয়ে খান।
-
ফ্যাট জমার ভয়ে ডায়েট থেকে বাদ দিয়েছেন সব ফ্যাট জাতীয় খাবার। এমনকি, ফ্যাট-ফ্রি ডায়েট মানতে গিয়ে শরীরে যেটুকু ফ্যাট প্রয়োজন জুটছে না তাও। ফলে ক্লান্তি দানা বাঁধছে শরীরে। ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ছে। তৈরি হচ্ছে নানা জটিলতা। পুষ্টিবিদদের মতে, ফ্যাটলেস নয়, বরং লো ফ্যাট আর নো কার্বসের মন্ত্রেই জয় করুন মেদের ভয়।
-
এই গরমে তেষ্টা মেটাতে আর শরীরকে আরাম দিতে দেদার বরফ মেশানো ঠান্ডা জল খাচ্ছেন। ফ্রিজ থেকে বোতল বেরিয়েই চালান হয়ে যায় পেটে। এমনটা হলে খুব সাবধান। ফ্রিজের বরফের পানি পান করলে মেদ বাড়ে।
-
ডায়েট ধরে রাখতে আর নিশ্চিন্তে থাকতে একই রকমের খাবার খেয়ে চলেছেন। ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার সব খাবারই গতে বাঁধা। খুব একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেও যান না। এমন হলে সাবধান। একই রকমের খাবার খেতে খেতে একটা সময়ের পরে শরীর অভ্যস্ত হয়ে যায়। অভ্যাসের ফলে মেদ ঝরানোও কমিয়ে ফেলে। আর শরীর সব পুষ্টিগুণও পায় না একই ধরনের খাবার থেকে।
-
নরম পানীয় ভালবাসেন, এ দিকে ভয় মেদ জমে যাওয়ার। তাই শ্যাম, কুল দুই-ই রাখতে বেছে নিয়েছেন ডায়েট পানীয়। ‘দ্য আমেরিকান গেরিয়াট্রিকস সোসাইটি’-র গবেষণায় উঠে এসেছে, ডায়েট পানীয়ে যে কৃত্রিম চিনি মেশানো হয়, তাতে শরীরে ক্ষতির পরিমাণই বাড়ে। মেদও বাড়ে এতে।
-
খাবার নয়, পেট ভরাতে আস্থা রাখছেন বিভিন্ন মেদ ঝরানোর শেকে। পুষ্টিবিদদের মতে, এই শেকের উপর ভরসা করতে গিয়ে লিন কাট প্রোটিন, বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর ফ্যাট কিছুই প্রায় শরীর পায় না। তাই চিবিয়ে খাওয়া যায় এমন খাবারেই আস্থা রাখছেন বিজ্ঞানীরাও।
-
অনেকে খালি পেটেই ছোটেন জিমে? বা বাড়িতে ব্যায়ামও খালি পেটে? মারাত্মক ক্ষতি করছেন কিন্তু! শরীরচর্চায় পরিশ্রম হয়, তাই মেটাবলিক রেটও এই সময় উচ্চ থাকে। তাই খালি পেটে শরীরচর্চা করলে পেশীতে টান ধরা থেকে শুরু করে মাতা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। পেশীও তার শক্তি হারাতে থাকে। তার চেয়ে হালকা কিছু খেয়ে ব্যায়াম করুন। উপকার পাবেন।
-
চিনি মোটে খান না, উল্টে শরীর টোনড রাখতে সুগার ফ্রি ধরেছেন। বার বার ‘না’ বলছেন চিকিৎসকরা। সুগার ফ্রি-তে থাকা অ্যাসপার্টেম উল্টে চোরা পথে মেদ বাড়ায়। শরীরের ক্ষতিও করে এই অ্যাসপার্টেম। তাই সুগার ফ্রি আর নয়!