সন্তানকে বুদ্ধিমান করতে হলে যা করবেন
আপনার সন্তানের মনে রাখার ক্ষমতা, খুব অল্প বয়সে পড়তে শেখা, সব বিষয়য়ে তুমুল আগ্রহ, সবসময় প্রশ্ন করা, সংগীত নিয়ে আগ্রহ, খেলার সময় নতুন নিয়ম তৈরির চেষ্টা- এই লক্ষণগুলো আপনার সন্তানের মধ্যে থাকলে বুঝতে হবে সে বুদ্ধিমান।
-
সন্তানকে যত বেশি সম্ভব নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ পাইয়ে দিন। এতে আপনার শিশুর সাহস ও আত্মবিশ্বাস পাল্লা দিয়ে বাড়বে।
-
খেলাধূলা, অভিনয়, গান-বাজনা বা অন্য কিছু। ঠিক কোন ব্যাপারে আপনার বাচ্চার সব থেকে বেশি আগ্রহ তা আগে বোঝার চেষ্টা করুন। যে মুহূর্তে বুঝতে পারবেন আপনার সন্তানের কোনো বিশেষ দিকে আগ্রহ রয়েছে, এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে তাকে উৎসাহ দিন। শিশুদের উপর অহেতুক চাপ বাড়াবেন না। মনে রাখবেন, সে যা নয় তা বানানোর চেষ্টা তার ক্ষতিই করবে।
-
যে কোনো শিক্ষার মূলে রয়েছে জানার আগ্রহ। বাচ্চা যত বেশি জানতে চাইবে তত বেশি শিখবে। তার শেখার আগ্রহকে গুরুত্ব দিন। ধৈর্য ধরে তার প্রশ্নের উত্তর দিন। এড়িয়ে যাবেন না। আপনার উত্তর তার বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করতে পারে।
-
আপনার সন্তান কোনো শিক্ষা গ্রহণ করতে চাইলে তার প্রশংসা করুন। নতুন ভাষা, সাইকেল চালানো, গিটার বাজানো- সব চেষ্টার প্রশংসা করুন। উৎসাহিত করুন তাকে। শেখার ইচ্ছাই তার ভবিষ্যত গড়ে দেবে।
-
শিশুর করা ভুলগুলোকে তার শিক্ষার অংশ হিসাবে দেখাতে হবে। আর ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করাটাকে সুযোগ হিসাবে শেখাতে হবে। এভাবেই বাচ্চাদের মধ্যে সংকট মোকাবিলার সক্ষমতা বাড়বে।
-
বাচ্চার গায়ে কোনো তকমা সেঁটে দেবেন না। এই যেমন, অনেক বাবা-মাই সন্তানকে বারবার দুষ্টু, অমনোযোগী, বাউন্ডুলে ইত্যাদি বলতে থাকেন। এতে বাচ্চাদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। ভবিষ্যতে কোনো ব্যর্থতার ভয়ে সে কুঁকড়ে থাকতে পারে।
-
শিশুর মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা সম্পর্কে আপনার সম্যক ধারণা থাকতে হবে। অনেক সময় এমন হয় যে শিশুর কোনো মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে শিশু হয়তো কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারছে না। কিন্তু বাবা-মা সে কথা জানেনই না। তাই শিশুর উপর পড়াশোনা নিয়ে চাপ বাড়াতে থাকেন। এক্ষেত্রে বাবা-মাকেই শিশুর উপর চাপ কমানোর দায়িত্ব নিতে হবে।