কোল্ড ড্রিঙ্ক আরও যেসব কাজে ব্যবহার করা যায়
অনেকেই ভারী কিছু খাবার পরেকোল্ড ড্রিঙ্ক পান করে থাকেন। কিন্তু পান করা ছাড়াও যেসব কাজে কোল্ড ড্রিঙ্ক ব্যবহার করা যায় তা দেখুন।
-
রান্না করতে গিয়ে কোনোভাবে পুড়ে গেলে একটা কালো কোল্ড ড্রিঙ্ক প্রয়োজন আপনার। কালো রঙের যে কোনো ঠান্ডা পানীয় ঢালুন পুড়ে যাওয়া পাত্রে। কিছুক্ষণ রাখুন। তার পর মেজে ফেললেই উধাও পোড়া দাগ। ঠান্ডা পানীয়র অ্যাসিডিক উপাদান এই দাগ তুলতে সাহায্য করে।
-
ছবির মধ্যেই ধরা থাকে স্মৃতি। সেই স্মৃতির ছবিগুলোতে নস্টালজিক করে তুলতে, তাতে ‘ভন্টিজে মোড’ বা অতীতের এফেক্ট আনতে ব্যবহার করুন ঠান্ডা পানীয়। এর জন্য একটি পাত্রে পানীয় রেখে তাতে ডুবিয়ে দিন নির্দিষ্ট ছবিকে। তারপর শুকিয়ে নিন সেই ছবি। এতে ছবিতে সেই এফেক্ট পাবেন।
-
কোনোভাবে জামা-কাপড়ে কলমের দাগ পড়লে কালি তোলার সহজ উপায় কোল্ড ড্রিঙ্ক। দাগ পড়ে যাওয়া জায়গায় ঠান্ডা পানীয় ঢেলে ঘষে নিয়ে ডিটারজেন্টে ডোবালেই দাগ উধাও হবে সহজে।
-
বাড়িতেই বার্বিকিউ সস বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে দিতে চান ঘরোয়া অনুষ্ঠানে? বেশ তো, হাতের কাছে মজুত রাখুন কোল্ড ড্রিঙ্ক। এক ক্যান ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে মিশিয়ে দিন খানিকটা টম্যাটো কেচাপ ও টাডা। এতেই তৈরি আপনার বার্বিকিউ সস।
-
বাগান করার শখ থাকলে সার হিসাবে ব্যবহার করুন ঠান্ডা পানীয়কে। মাটির পিএইচ মাত্রা কমিয়ে গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এই পানীয়। বিশেষ করে দানাশস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর।
-
চুলের যত্নেও ব্যবহার করতে পারেন এই পানীয়। কোল্ড ড্রিঙ্কের ফসফরিক অ্যাসিড চুলের জট ছাড়াতে তো কাজে আসেই, সঙ্গে চুলের স্বাভাবিক ঢেউ খেলানো ভাবকে সুন্দর রাখে। এ ছাড়া চুলের ঢাল বাড়াতেও কাজে আসে। কন্ডিশনারের সঙ্গে মিশিয়ে লাগান কোল্ড ড্রিঙ্ক।
-
বেসিন ও কমোড পরিষ্কার করতেও ব্যবহার করুন এই পানীয়। খানিকটা পানীয় কমোডে ঢেলে ব্রাশ দিয়ে ঘষে জল ঢেলে দিলেই ঝকঝকে হয়ে উঠবে কমোড বা বেসিন।