যেভাবে আপনার শিশুর ত্বকের যত্ন নেবেন
শৈশব থেকেই শিশুর ত্বকের যত্ন নিলে তা আজীবন সুস্থ ও সতেজ থাকে। তাই অভিভাবকরা যদি প্রথম থেকেই সন্তানের ত্বকের খেয়াল রাখেন, তা হলে চর্মরোগের ভয় যেমন দূর হয়, তেমনই নানা অসুখও প্রতিরোধ হবে।
-
শিশু মানেই নানা বেবি প্রোডাক্টের উপর নির্ভর করে থাকা। শিশুর শ্যাম্পু, সাবান, পাউডার, তেল ইত্যাদি কেনার আগে এর উপাদান পড়ুন মন দিয়ে। এতে কোনো টক্সিক পদার্থ থাকলে তা অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। যেসব শিশু সেভাবে বেবি প্রোডাক্টের উপর নির্ভর করতে পারে না, তাদের জন্যও প্রসাধন বাছুন খুব সাবধানে।
-
কেবল হাড়ের জোর নয়, শিশুর ত্বকের যত্নের অন্যতম উপায় তেল মালিশ করা। তার ত্বকের প্রতিটা রন্ধ্রে তেল পৌঁছানো খুব জরুরি। নামী সংস্থার তেল হোক বা সাধারণ পরিচর্যার কোনো তেল- চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তা মাখান শিশুকে। এবং মাখানোর পদ্ধতিও এমন রাখুন য়াতে শরীরের সব অংশ সমান তেল পায়।
-
একটা সময়ের পর থেকেই শিশুকে মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে কিছু ফলের রস খাওয়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এই অভ্যাস শুধুমাত্র শিশুর রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাই বাড়ায় না, বরং বেদানা, কালো জাম, কমলালেবু, গাজর ইত্যাদির রস তার ত্বকেরও যত্ন নেয়।
-
শরীর গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় নানা ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভর্তি বাদাম রাখুন সন্তানের খাদ্যতালিকায়। কাজুবাদাম, কাঠবাদাম ও সাধারণ বাদামে থাকা তেল ছোটদের চামড়ার জন্য উপকারী।
-
কেমিক্যালমুক্ত নানা ঘরোয়া প্যাক লাগাতে পারেন শিশুর শরীরে। শিশুর ত্বকের ধরন বুঝুন আগে। তারপর মুলতানি মাটি, কলা, মধু, চন্দন, পাকা পেঁপে, দই ইত্যাদির মধ্যে কোনগুলো প্রয়োজন তা বুঝে তার জন্য প্যাক বানাতে পারেন। তবে অতিরিক্ত প্যাকে অনেক সময় সন্তানের ঠান্ডা লাগে। এই দিকে খেয়াল রাখবেন।
-
সেলুন কিংবা পার্লারে শিশুর যে কোনো পরিচর্যার সময় নজর রাখুন ব্যবহৃত যন্ত্র ও উপাদানের উপর। যন্ত্রগুলো যেন পরিষ্কার ও জংবিহীন হয়। ত্বকে সংক্রমণ হয় এমন কোনো সুযোগ তৈরি হতেই দেবেন না। শিশুর চামড়া ও শরীরের পক্ষে ক্ষতি করবে এমন উপাদান থেকেও দূরে রাখুন তাকে।