কাজের মাঝে মানসিক চাপ কমাতে যা করবেন
নানা রকম কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মানসিক চাপ যেন আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে গেছে। অফিসের রুটিন মাফিক ডিউটি, পারিবারিক নানা কাজ, ব্যক্তিগত জীবন- সব মিলিয়েই সারা দিনের নানা সমস্যা আমাদের মনের অনেকটা জুড়ে থাকে। এবার জেনে নিন কিভাবে শত কাজের মাঝে মানসিক চাপ মুক্ত থাকবেন।
-
গান : মানসিক চাপ থেকে বাঁচতে পছন্দের যে কোনো গান শুনতে পারেন। আপনার ভাল লাগে এমন কোনও হালকা গান বা বাদ্যযন্ত্রের সুরে মন দিন। অফিসে থাকলেও হাতে মাত্র মিনিট পাঁচেক সময় নিয়ে কাজ থেকে উঠে হেডফোনে শুনে আসুন গান। ফের কাজে বসুন। গান মস্তিষ্কের কোষকে আরাম দিয়ে কাজের গতি, নিপুণতা সবই বাড়ায়।
-
চুউয়িং গাম : মানসিক চাপ কমাতেও এর উপর ভরসা করতে পারেন। চুউয়িং গামের মধ্যে থাকা নানা রাসায়নিক উপাদান স্নায়ুগুলিকে সাময়িক উদ্দীপ্ত করে। ফলে ক্লান্তি দূর হয়ে, কাজে নতুন শক্তি ফিরে পাওয়া যায়। ক্লান্তি কমায় মানসিক চাপ থেকেও খানিক নিষ্কৃতি মেলে।
-
বডি মাসাজ : শরীরের নানা বেদনা কমাতে যেমন এটি উপকারী, ঠিক তেমনই মানসিক চাপ কমিয়ে মনকে প্রফুল্ল রাখতেও এর জুড়ি নেই। পেশী ও স্নায়ুগুলিকে সতেজ রাখে ও রক্ত চলাচলে সুবিধা করে দেয় এই ধরনের মাসাজ।
-
আঁকিবুকি : আঁকাআঁকির শখ থাকলে কাজের ফাঁকে সামান্য সময় পেলেই আঁকিবুঁকি কাটুন। তাতে মনের চাপ যেমন কমবে, তেমনই পুরনো শখও ঝালিয়ে নিতে পারবেন। মনোবিদদের মতে, কম্পিউটারের যুগে কাগজ-কলমের সান্নিধ্য এমনিতেই মন-মেজাজ হালকা রাখে। তাই মানসিক চাপ কমাতে মন বসান এতে।
-
হাঁটুন : কাজে মন না বসলে বা চাপ পড়লে অনেকেই ধূমপানের আশ্রয় নেন, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই সে সব ছেড়ে বরং হাঁটায় মন দিন। কোনো এক সময় অফিস থেকে বেরিয়ে চারপাশে হেঁটে আসুন। মিনিট পনেরো হাঁটলেও শরীরের পেশিরা সক্রিয় হয়। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করার ক্লান্তি কমে।
-
মেডিটেশন : প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে বা ঘুমোতে যাওয়ার আগে মেডিটেশন করুন। ধ্যান বা মেডিটেশন মনঃসংযোগ বাড়ায়, সহজেই কমে কাজের চাপ। চিকিৎসকদের মতে, রোজ মেডিটেশনে অভ্যস্ত হলে মন শান্ত থাকে। সহজে উত্তেজিত হওয়ার প্রবণতাও কমে।