জন্মের আগেই যেসব কাজকর্ম শিখে ফেলে শিশুরা
-
আবেগ : শিশু গর্ভে থাকতে তার মায়ের রাগ, দুঃখ সব কিছুই বুঝতে পারে। গর্ভধারণের ৮ মাস পরই গর্ভস্থ শিশুর মুখে ফুটে উঠতে থাকে নানা আবেগের ভঙ্গি। মূলত, মায়ের ভালো থাকা-খারাপ থাকার উপর তা অনেকটাই নির্ভর করে। মা খুশি হলে শিশুও খুশি। ৩৩ সপ্তাহ কাটলে তার হাসি মুখের ছবিও ধরা পড়ে আলট্রাসাউন্ডে।
-
মানসিক চাপ : মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়ার আগে অফিসে কাজের চাপ বেড়েছে কিংবা বাড়িতে কোনো কারণে মানসিক চাপে আছেন? আপনার শিশু কিন্তু ঠিক টের পেয়ে যায়। গর্ভবতী মাকে চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন চাপমুক্ত থাকতে। এতে তার শরীর তো ভাল থাকেই, সঙ্গে ভাল থাকে শিশুও। আপনি সমস্যায় থাকলে তারও মন খারাপ হয়। অস্থিরতা থাকে তার ছটফটানিতে।
-
কান্না : গর্ভে থাকাকালীন কোনো কারণে রেগে গেলে বা কষ্ট পেলে কেঁদে ওঠে সে। তবে তখনও শব্দ করতে পারে না বলে, সে কান্নার প্রকাশ হয় নিঃশব্দে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তিন মাস পর থেকেই আলট্রাসাউন্ডের মাইক্রোফোনে অনেক সময়ই তার কান্নার মৃদু তরঙ্গ ধরা পড়ে।
-
স্মৃতিশক্তি : গর্ভস্থ অবস্থায় সুর করে বা জোরে কোনোও ছড়া-গল্প বললে কিংবা গান গাইলে তা শুনতে তো পায়ই শিশু, শুধু তা-ই নয়, তার মস্তিষ্কের কাজও চলে পুরোদমে। গর্ভে থাকাকালীনই সে মনে রাখতে শিখে যায় বারবার শোনা কোনও গান বা ছড়ার লাইন।
-
হাত-মুখের যোগ : আট মাস গর্ভধারণের পরের আলট্রাসাউন্ডে প্রায়ই ধরা পড়ে শিশু মুখের মধ্যে আঙুল পুরে নিশ্চিন্তে রয়েছে। আঙুল চোষার এই পাঠ সে শিখে ফেলে গর্ভে থাকাকালীনই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাতের আঙুল নিয়ে যে কী করবে তা সে মজে মাঝেই বুঝে উঠতে পারে না, তাই সটান চালান করে দেয় মুখে।