সবসময় পেট ভার থাকলে যেসব রোগ দেখা দেয়
অনেক সময় কারো কারো পেট ভার থাকে। বিশেষ করে নারীদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এবার জেনে নিন সবসময় পেট ভার থাকা সেসব রোগের লক্ষণ।
-
পেট ভার থাকলে শোয়ার সমস্যা হয়। এ কারণে গ্যাস হয়। ফলে কোমরে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হলে এই সমস্যাটি প্রকটভাবে দেখা যায়। জরায়ুতে ফাইব্রয়েড অর্থাৎ একটি অযাচিত মাংস পিণ্ড দেখা দেয়। তা পিঠের নিচের অংশের পেশী ও স্নায়ুতে চাপ দেয়। ফলে পিঠে, কোমরে ব্যথা হওয়া প্রতিদিনকার ঘটনা হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
নারীদের ডিম্বাশয়, জরায়ু, মূত্রাশয়ের কার্যপদ্ধতি একে অপরের উপর নির্ভরশীল। ফলে যেকোনো একটি অংশে সমস্যা হলে অপর অংশগুলোতেও সমস্যা দেখা দেয়। জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হলে, মূত্রাশয় ভারী লাগে। ঘন ঘন প্রস্রাব পাচ্ছে মনে হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হলে পেটের নিচের অংশে ভার অনুভূত হয়। একারণেই তল পেটে ব্যথা হওয়া এবং পেট ফুলে থাকার মতো সমস্যা ঘন ঘন দেখা যায়। মাসিকের সময় কেটে গেলেও, ক্রমাগত তলপেটে ব্যথা হলে এই সমস্যাকে একদমই উপেক্ষা করা উচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত
-
জরায়ু, মূত্রাশয়, যোনিপথ একে অপরের সাথে জড়িত, তাই জরায়ুতে অতিরিক্ত এক বা একাধিক অবাঞ্ছিত মাংসখণ্ড দেখা গেলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত রক্তপাত অন্যতম লক্ষণ। একারণেই অনেক নারীর রক্তাল্পতার পাশাপাশি, ক্লান্তি, মাথাব্যথা অলসতা দেখা দেয়। ছবি: সংগৃহীত
-
জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হলে মলদ্বারে অতিরিক্ত চাপ অনুভূত হয়। ফলে মলত্যাগে সমস্যা দেখা দেয়। বহুক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
ফাইব্রয়েড হলে নিচের অংশে একটি অতিরিক্ত চাপ বাড়ে। ফলে, পেট, কোমর, মলদ্বারের পাশপাশি পেলভিকেও চাপ তৈরি হয়। ফলে পেলভিকেও ব্যথা দেখা যায়। তবে এক্ষেত্রে দুই থেকে চার সপ্তাহ পর নিজে থেকেই এই ব্যথা ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু ব্যথা কমে যাওয়ার কদিন পর আবার এই ব্যথা নিজে থেকেই দেখা দেয়। ছবি: সংগৃহীত
-
জরায়ু হচ্ছে নারীদের অন্যতম প্রধান জননঅঙ্গ। এখানেই নিষিক্ত ডিম্বাণু ভ্রুণে পরিণত হয়। সুতরাং জরায়ুর কোনো সমস্যা হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চা ধারণেও সমস্যা দেখা দেবে। ছবি: সংগৃহীত
-
এছাড়াও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। ফলে মানসিক সমস্যা যেমন ডিপ্রেশন, খিটখিটে মেজাজ দেখা যায়। শরীর ও মন খারাপ থাকলে স্বাভবিকভাবেই তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে। ফলে এই সাতটি লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। ছবি: সংগৃহীত