ধূমপায়ীদের যে পরীক্ষাগুলো করানো উচিত
চিকিৎসকরা বারবার ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও যারা এখানো ধূমপান করছেন, পাশাপাশি যারা বেশি পরিমাণে ধূমপান করেন তাদের বছরে অন্তত একবার কিছু পরীক্ষা আছে তা করানো উচিত। জেনে নিন কোন কোন পরীক্ষাগুলো করাতে হবে।
-
এক্স-রে: প্রত্যেক ধূমপায়ীদের জন্য এই পরীক্ষা আবশ্যিক। এই পরীক্ষাটি মূলত ধূমপানের ফলে স্বাস্থ্যের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা দেখার জন্য করা হয়। এক্স-রের মাধ্যমে রোগীর ফুসফুস ও হৃদপিন্ডের ছবি নেওয়া হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে তার রক্তনালী, অবরুদ্ধ ধমনী নিকোটিনের ধোয়ার কারণের কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা জানা যায়। এবং সেই অনুযায়ী তার চিকিৎসা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
স্পাইরোমেট্রি: যেকোন ধূমপানকারী ব্যক্তির জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হল এই স্পাইরোমেট্রি টেস্ট। এখানে একটি মেশিনের মাধ্যমে মূলত রোগীর শ্বাস প্রশ্বাসকে অবরুদ্ধ করা হয় এবং তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এই পরিক্ষার মাধ্যমে মূলত রোগীর ফুসফুসের কার্যকারিতাকে পরীক্ষা করা হয়। ফুসফুসে ক্যান্সার, ফুসফুসে ফাইব্রসিস, খাদ্যনালীতে ক্যান্সার ইত্যাদি রোগগুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
-
৪০ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যাক্তিদের ধূমপান অনেক বেশি ঝুঁকিসাপেক্ষ। বেশিরভাগ ধূমপায়ীদের রক্তে সাধারণত ভিটামিন ডি কম থাকে। তাই এই পরীক্ষা একজন ধূমপানকারী ব্যক্তির জন্য ভীষণ জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
-
ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং: ধূমপান মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে দেয় যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে। ধূমপায়ীদের সাধারণত টাইপ ২-ডায়াবেটিস হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি থাকে যা হার্ট এবং কিডনি রোগের মতো নানান সমস্যার সৃষ্টি করে। এই কারণেই একটি ডায়াবেটিস স্ক্রীনিং পরীক্ষাও অপরিহার্য। ছবি: সংগৃহীত
-
এইচএস-সিআরপি টেস্ট: এটি মূলত একটি রক্ত পরীক্ষা। যা শরীরে প্রোটিনের স্তর বা পরিমাণ বুঝতে নির্ণয় করানো হয়। এই এইএস-সিআরপি পরীক্ষাটি যাদের এরই মধ্যে হৃদরোগ নেই তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কতখানি তা বুঝতে ব্যবহার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম: তামাকের কার্বন মনো-অক্সাইড হৃৎপিন্ডের নিয়মিত কার্যকারিতাকে ব্যাহত করে এবং এর ফলে রক্তনালীগুলো আটকে যেতে পারে অথবা ধমনীগুলো বøক হতে পারে। এই ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম বা ইসিজি একজন ধূমপানকারীর হৃদস্পন্দনের গতি-প্রকৃতি পরীক্ষা করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধূমপানের কারণে হওয়া সম্ভাব্য সমস্যা সনাক্ত করতে এই পরীক্ষা সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
-
সিটি স্ক্যান মূলত ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে তা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব। তবে তা শেষ পর্যায়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেলে তা আর সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়। যারা মূলত চেইন স্মোকার তাদের জন্য এই পরীক্ষাটি একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর করানো আবশ্যক। ছবি: সংগৃহীত