যে কারণে রাতে না খেয়ে ঘুমাতে যাবেন না
অনেকেই বিভিন্ন কারণে রাতে না খেয়ে ঘুমাতে যান। রাতে না খেয়ে ঘুমাতে গেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়। জেনে নিন সে সম্পর্কে।
-
খুদা না পেলেও রাতে না খেয়ে শুতে যাওয়া মোটেই উচিত নয়। ২৪ ঘণ্টা ধরে শরীরে নানান ধরনের প্রক্রিয়া চলতে থাকে ফলে ক্যালোরি বার্ন করার জন্য খেতে হয়। যারা রাত্রিবেলায় প্রোটিন জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন তাদের শরীরে অত্যন্ত পরিমাণে এনার্জি থাকে। ছবি: সংগৃহীত
-
না খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে। যা পরবর্তীকালে বøাডপ্রেশার, ডায়াবেটিস, করোনারি আটারিসহ নানান ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। ডিনার এড়িয়ে গেলে শরীরে থাইরয়েডের পরিমাণে বাড়তে থাকে। এর কারণেই অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
রাতের খাবার না খেয়েই ঘুমাতে গেলে আপনাকে বিছানায় এপাশ-ওপাশ করতে হতে পারে, অর্থাৎ খালিপেটে বিছানায় গেলে ঘুম বিঘ্নিত হতে পারে। ডিনার এড়িয়ে গেলে আপনি ভালো অনুভব করতে পারেন, কিন্তু যখন আপনি শেষপর্যন্ত ঘুমিয়ে পড়বেন তখন এ ক্ষুধা আপনার মস্তিষ্ককে মানসিকভাবে সতর্ক রাখবে, যার ফলে আপনার রাতে পর্যাপ্ত গভীর ঘুম হবে না। ছবি: সংগৃহীত
-
রাতে খালিপেটে ঘুমিয়ে সকালে ওঠে এত বেশি খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যে আপনার ব্লাড সুগারের মাত্রা অস্বাস্থ্যকর লেভেলে চলে যেতে পারে, যার ফলে দিনের অবশিষ্ট সময়ে আপনার বিপাকে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই অল্প করে হলেও রাতে কিছু খাওয়া উচিত। ছবি: সংগৃহীত
-
ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলেছেন, যেসব পুরুষ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ৩০ গ্রাম প্রোটিন সমৃদ্ধ শেক খেয়েছিল তাদের রেস্টিং এনার্জি সেসব পুরুষদের তুলনায় বেশি ব্যয় হয়েছিল যারা রাতে কিছুই খাননি। রেস্টিং এনার্জি এক্সপেনডিচারের মানে হলো, বিশ্রামের সময় শরীর যতটুকু শক্তি বা ক্যালরি পোড়ে। যদি আপনি কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলে নিঃশেষিত শক্তি মাত্রার প্রভাবে দিনের অবশিষ্ট সময়েও ভুগতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
-
কেউ রাতে খাবার না খেয়ে ঘুমালে পরের দিন তার মারাত্মক মুড সুইং হতে পারে, অর্থাৎ মেজাজ খারাপ হতে পারে অথবা রেগে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। ডিনার না করার ফলে মেজাজের যে পরিবর্তন হয় তার পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের গবেষকরা পেয়েছেন, খাবার না খেলে আচরণ-মেজাজ নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন সেরোটোনিনের মাত্রায় হ্রাসবৃদ্ধি চলতে থাকে। এটি মস্তিষ্কের সে অংশকে প্রভাবিত করে যা মানুষকে রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত