উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দিনে কতটুকু পানি পান করবেন?
বিভিন্ন বয়সী মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এবার জেনে নিন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দিনে কতটুকু পানি পান করবেন?
-
জীবনে চাপ বেড়েছে। হারিয়ে গিয়েছে শান্তি, স্বস্তি। ঘরে ঘরে দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি। এর মধ্যে খুব সাধারণ সমস্যা হল হাই বøাড প্রেশার। এই অবস্থায় রক্তনালীর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত রক্তের চাপ হয় মারাত্মক রকমের বেশি। যা একসময় কার্ডিও ভাসকুলার রোগসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ছবি সংগৃহীত
-
হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্ত চাপ সমস্যায় সাধারণত মানুষ চিকিৎসকের কাছেই ছোটেন। নানা ওষুধ খান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। নিজেকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে হৃদপিন্ডের রক্ত পাম্প করার কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। তাছাড়া বেশি করে পানি পানে শরীরের কোনো ক্ষতি তো হয়ই না বরং বেশ কিছু সুবিধে রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
-
হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্ত চাপ সমস্যায় সাধারণত মানুষ চিকিৎসকের কাছেই ছোটেন। নানা ওষুধ খান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। নিজেকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে হৃদপিন্ডের রক্ত পাম্প করার কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। তাছাড়া বেশি করে পানি পানে শরীরের কোনো ক্ষতি তো হয়ই না বরং বেশ কিছু সুবিধে রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
-
উচ্চ রক্তচাপে জীবনধারার ভূমিকা: আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা। বলা হয়, লবণ কম থাকে এমন সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। ব্যায়াম করতে হবে প্রতিদিন। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ বা ওজন কম রাখার দিকেও নজর দিতে হবে। পাশাপাশি মদ্যপান এবং ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার এটাই সেরা সময়। এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন কতটা পানি পান করা উচিত? ছবি: সংগৃহীত
-
রক্তচাপ কমাতে প্রতিদিন কতটা পানি পান করা উচিত: চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। অর্থাৎ ২৪০ মিলিলিটার। তারা বলছেন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করতেই হবে। কেন? এর কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলছেন, ‘পানি রক্তকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে (বিষাক্ত পদার্থ এবং বর্জ্য অপসারণ), অতিরিক্ত সোডিয়ামসহ যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়’। ছবি: সংগৃহীত
-
ক্র্যানবেরি জুস-ও সাহায্য করবে: বিশেষজ্ঞরা বলেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ম্যাজিকের মতো কাজ করে ক্র্যানবেরি জুস। চিকিৎসকদের কথায়, ভিটামিন সি-তে (একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট) ভরপুর ক্র্যানবেরি জুস। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে, রক্তপ্রবাহকে উন্নত করে এবং রক্তনালীগুলোকে শিথিল করতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
-
এই তিনটি জিনিসই রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়’। এছাড়াও ক্র্যানবেরি জুস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফ্রি ব্যাডিক্যাল থেকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
-
উচ্চ রক্তচাপকে ‘নিঃশব্দ ঘাতক’ বলা হয় কেন: ডব্লিউএইচও-র হিসেব অনুযায়ী, ৩০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী প্রায় ১.২৮ বিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। শুধু তাই নয়, আনুমানিক ৪৬ শতাংশ মানুষ জানেনই না যে তারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। রোগটা বিপজ্জনক পর্যায়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর, স্ট্রোক এবং আরও গুরুতর কার্ডিও ভাসকুলার রোগের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। তাই উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতক বলা হয়। ছবি: সংগৃহীত