সুস্থ থাকতে কতক্ষণ ঘুমানো দরকার?
সুস্থ থাকতে ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। তাই স্বাভাবিক সুস্থ জীবনের জন্য নিয়মিত ঘুমানো দরকার। এবার জেনে নিন কোন বয়সে কতক্ষণ ঘুমানো দরকার।
-
ফিট থাকতে ঠিক কতক্ষণ ঘুম দরকার? অনেকেই মনে করেন আট ঘণ্টা ঘুমালেই যথেষ্ট। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান কী বলে? পর্যাপ্ত ঘুম হলে যে পরিমাণ এনার্জি সঞ্চারিত হয় তা আপনাকে আরও হাজার কাজে উৎসাহ ও শারীরিক তৃপ্তি জোগাতে পারে। আবার অন্যদিকে ঘুম কম হলে মেলে ঠিক উল্টো ফল। ছবি: সংগৃহীত
-
ঘুম নিয়ে সবার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে একজন ব্যক্তির ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত, আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে সুস্থ জীবনের জন্য ৬ ঘণ্টা ঘুমই প্রয়োজন। একই সঙ্গে অনেক জায়গায় সব বয়সের মানুষের ঘুমের আদর্শ সময় সম্পর্কেও বলা হয়েছে। চিকিৎসকের মতে কিন্তু, মধ্যবয়সী মানুষের জন্য ৮ ঘণ্টা ঘুমানো সঠিক বলে মনে করা হয় না। ছবি: সংগৃহীত
-
ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষকদের পরামর্শ অনুযায়ী একজন মধ্যবয়সী মানুষের মাত্র ৭ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। এর ফলে স্বাস্থ্য ঠিক থাকে এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা যেমন ডিমেনশিয়া হওয়ার আশঙ্কাও কমে। ছবি: সংগৃহীত
-
তাদের এই গবেষণায় গবেষকরা গবেষণায় ৩৮ থেকে ৭৩ বছর বয়সীদর অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। যারা ৭ ঘণ্টার বেশি বা কম ঘুমাতেন, তাদের শারীরিক পরীক্ষার ফলাফল ছিল খুবই খারাপ। এমন ব্যক্তিদের মধ্যে চিন্তার গতি, সতর্কতা এবং স্মৃতিশক্তি কমে যায়। এমনকি সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাও কমে যায় এই মানুষদের মধ্যে। ছবি: সংগৃহীত
-
এতদিন ৮ ঘণ্টা ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়েছে। ঘুম মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিপাক এবং ইমিউন সিস্টেমের সঠিক কাজ করতে সাহায্য করে। একই সময়ে, স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব সাইট এনএইচএস সুপারিশ করে যে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে ৬ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য ১২ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
-
মধ্যবয়সী এবং বৃদ্ধদের জন্য একটানা ঘুমিয়ে থাকা এবং দীর্ঘক্ষণ ঘুমানো খুবই কঠিন। এর কারণে বার্ধক্যে মানুষকে মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে লোকেরা প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা ঘুমান, তাদের মস্তিষ্ক কম বা বেশি ঘুমানো মানুষের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। ছবি: সংগৃহীত
-
এই ধরনের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য যেমন খুব ভালো থাকে, তেমনি এই মানুষদের দুশ্চিন্তা, অবসাদজনিত সমস্যায় পড়তে হয় না। গবেষকরা এর কারণ জানিয়ে বলেন, যারা ৭ ঘণ্টার কম ঘুমান, তাদের ঘুমের খুব বেশি ব্যাঘাত ঘটে এবং তারা গভীর ঘুম নিতে পারে না। এ ছাড়া যারা ৭ ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদেরও নানা সমস্যায় পড়তে হয়। অতএব আদর্শ ঘুম ৭ ঘণ্টার হওয়া উচিত বলেই মনে করেন গবেষকরা। ছবি: সংগৃহীত