যেভাবে আলু রান্না করে খেলে ওজন কমবে
আলু একটি ভীষণ জনপ্রিয় সবজি। অনেকেই আলু বেশ পছন্দ করেন। তবে কিছু কিছু রোগ আছে তাতে আক্রান্ত হলে ডাক্তাররা আলু খেতে নিষেধ করেন। তবে রান্নার একটি পদ্ধতি রয়েছে, এ পদ্ধতিতে আলু রান্না করে খেলে শরীরের ওজন কমবে।
-
মুচমুচে মসলাদার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিংবা আলু পরোটা বা লুচির সঙ্গে আলুর তরকারি কে না ভালোবাসেন! কিন্তু ওজন কমানোর ডায়েটে আলু রাখতে আবার নিষেধও করা হয়েছে। তবে আলু খাদ্যতালিকায় রেখেও মেদ কমানো যায়। এমনই একটি কৌশল পরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষকরা যা আমাদের শরীরকে ধীরে ধীরে আলুর স্টার্চ হজম করতে সাহায্য করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা যেমন বাড়ে না, তেমনই ওজন কমাতেও বাধা দেয় না। তাই সঠিক পদ্ধতিতে আলু খেয়েও সহজেই বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলা। ছবি: সংগৃহীত
-
আলু রান্না করার সঠিক পদ্ধতি: আলু সেদ্ধ করে ঠান্ডা করতে হবে এবং ফ্রিজে রেখে দিতে হবেন। এর ফলে জিআই কমে যাওয়ায় আলু স্বাস্থ্যকর এবং আরও পুষ্টিকর হয়। এবার এই আলুগুলোকে ২৮ গ্রাম পাতলা সাদা ভিনেগারে মেশালে আরও শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগ জিআই মাত্রা কমে যায়। ভিনেগারের পরিবর্তে কয়েক ফোঁটা লেবুও দিতে পারেন। যদিও জিআই মাত্রা কমানোর জন্য ভিনেগার বেশি কার্যকরী। এমনকী ভিনিগার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বলে চিকিৎসকেরা ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারে ভিনেগার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। ছবি: সংগৃহীত
-
আলুর স্টার্চ কমানোর অন্য পদ্ধতি: আলু চাকা করে কেটে গরম জলে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে এবং তার পর রান্না করতে হবে। এতে আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমে যায় এবং হজম ভালো হয়। অন্য কোনো কিছু না দিয়ে আলু সেদ্ধ করে, ভাপিয়ে বা মাইক্রোওয়েভে করে রান্না করা যায়। এই পদ্ধতিতে আলু রান্না করলে নিশ্চিতভাবে এতে লবণ, চিনি এবং ফ্যাট খুব কম থাকে। ছবি: সংগৃহীত
-
স্বাস্থ্যকর উপায়ে আলু রান্না করার আরেকটি পদ্ধতি হলো খোসাসহ আলু রান্না করা। এর ফলে শরীরে ফাইবার পৌঁছায়। রান্না করা ব্রকোলি এবং আলু একসঙ্গে খেলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, আলু থেকে স্টার্চ বেরোনোর প্রক্রিয়া ধীরে হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসেচক থাকে যা আলু থেকে ধীর গতিতে গøুকোজ বের করে। সাধারণত এই উৎসেচকগুলোর গতি বেশি থাকে, কিন্তু আলুর স্টার্চ উৎসেচকগুলোর গতি কমিয়ে দেয় এবং দ্রæত গøুকোজে রূপান্তরিত হয়। সেক্ষেত্রে হজম প্রক্রিয়া ধীরে হয় বলে স্বাভাবিকভাবে দ্রæত রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। স্টার্চ ধীরে ধীরে কমে গেলে আলু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিংবা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক হয় না। ছবি: সংগৃহীত
-
আলুর সঙ্গে কি খাওয়া উচিত নয়: আলুর সঙ্গে টুনা মাছ বা চিকেন ব্রেস্ট খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি শরীরের ইনসুলিনের পরিমাণকে দ্বিগুণ করে দেয়। আসলে প্রাণীজ প্রোটিনের তুলনায় উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের অ্যামিনো অ্যাসিড মেটাবলিক হার বাড়ায়। তাই ডায়েট থেকে বাদ না দিয়ে বরং সঠিকভাবে আলু খাওয়াই ভালো। ছবি: সংগৃহীত