মাদকাসক্তি প্রতিরোধে পরিবারের করণীয়
বিভিন্ন কারণে দেশের মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই থেকে সন্তানদের বাঁচাতে পরিবারের দায়িত্বশীল সদস্যদের ভূমিকা রয়েছে। জেনে নিন মাদকাসক্তি প্রতিরোধে পরিবারের যেসব করণীয় রয়েছে।
-
আপনার সন্তানকে বুঝতে শিখুন। অহেতুক সন্তানদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করবেন না। সন্তানের ভালো লাগা, মন্দ লাগাকে গুরুত্ব দিন। সন্তানের সাথে কোয়ালিটি টাইম কাটান। এমনভাবে সন্তানকে সময় দিবেন যেন সে সেটি উপভোগ করে, ভালোবাসে ও বারবার আপনার সাথে সময় কাটানোর জন্য অপেক্ষায় থাকে। ছবি: সংগৃহীত
-
সন্তানের পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। একসঙ্গে ঘরে তৈরি খাবার খান, খেলুন ও বাইরে ঘুরতে যান। এভাবে সময় কাটালে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্কও ভালো হবে এবং সে আড়ালে গিয়ে নেশা করবে না বা সারাদিন ইন্টারনেটে সময় কাটাবে না। এখন কিন্তু ইন্টারনেটও আসক্তির পর্যায়ে চলে গেছে। ছবি: সংগৃহীত
-
দাম্পত্য কলহ থাকলে সেটিকে এড়িয়ে চলুন। অন্তত শিশুর সামনে এ কলহ প্রকাশ করবেন না। শিশুর বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে সন্তানের সঙ্গে মাদকের অপব্যবহার ও ক্ষতি নিয়ে খোলাখুলি আলাপ করুন। কারণ, এখন ইন্টারনেটের সুবাদে ১২-১৩ বয়সীরা মাদক সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছে। কিন্তু মাদকের বিষয়ে তার আগেই ধারণা থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। ছবি: সংগৃহীত
-
সন্তানের ওপর গোপনে নজরদারি করবেন না। ছেলে বা মেয়ে বড় হলে তার মধ্যে সেলফ আইডেন্টিটি তৈরি হয় এবং সে কিছু ক্ষেত্রে প্রাইভেসি প্রত্যাশা করে। সন্তানকে অযথা দোষারোপ না করে যুক্তি দিয়ে বুঝাতে হবে। শৈশব থেকেই নৈতিক শিক্ষা দিন, ভালো-মন্দ বিষয়ে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিন। ছবি: সংগৃহীত
-
কিশোর বয়সে বাবা-মায়ের চেয়েও বন্ধুদের কথা বা পরামর্শ বেশি আকর্ষণীয় হয়। এজন্য সন্তান কাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে, সময় কাটাচ্ছে তা নিয়ে তার সাথে খোলাখুলি আলাপ করুন এবং বন্ধু নির্বাচনে পরামর্শ দিন। ছবি: সংগৃহীত
-
ছেলে-মেয়েরা বাইরে আড্ডা, হোটেলে-রেস্টুরেন্টে কিছু খেতে চাইতে পারে, তাতে বাধা না দিয়ে বরং পরিবারে এসব আয়োজন করার চেষ্টা করুন। যেমন, বাসায় বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার একসঙ্গে বসে খাওয়া, বিকেল বা সন্ধ্যায় সবাই একসাথে বসে গল্প-গুজব করা, ছুটির দিনে বাইরে ঘুরতে যাওয়া বা একসাথে বসে বিভিন্ন ইনডোর গেম খেলা। ছবি: সংগৃহীত