ওষুধে না কমা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের উপায়
বর্তমানে ঘরে ঘরে উচ্চ রক্তচাপের রোগী রয়েছে। এই রোগ একবার ধরলে আজীবন ওষুধ খেয়ে যেতে হয়। তবে ওষুধ খেলেই যে তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে তেমনটাও কিন্তু নয়। বরং জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এবং খাওয়া-দাওয়ায় পরিবর্তন আনলেই অনেকটা আয়ত্তে চলে আসে উচ্চ রক্তচাপ। জেনে নিন ওষুধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি।
-
ওজন কমাতে হবে: নিয়মিত ব্যায়াম এমনকী হাঁটাহাটিও রক্তচাপ কমাতে ওষুধের মতো কাজ করে। ব্যায়াম হার্টকে শক্তিশালী করে, আরও বেশি রক্ত পাম্প করতে দেয়। এজন্য ৩০ মিনিটের ব্যায়াম যথেষ্ট। অল্প ওজন হ্রাসও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
-
ধ্যান: মানসিক চাপ কর্টিসল এবং অ্যাড্রিনালিনের মতো হরমোন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোনগুলোর জেরে হৃদস্পন্দনের গতি বাড়ে। ফলে রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয় এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়। অন্যদিকে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ধ্যান, যোগব্যায়ামের অনুশীলন স্ট্রেস হরমোন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এজন্য সকালে মাত্র ৫ মিনিটের ধ্যানই উপকারী। ছবি: সংগৃহীত
-
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: প্রতিদিন ২ হাজার থেকে ৪ হাজার মিলিগ্রাম পটাশিয়াম গ্রহণ করলে উচ্চরক্তচাপ কমে। আলু, পালং শাক, তরমুজ, অ্যাভোকাডো, মটরশুঁটি, টমেটো, শুকনো ফল পটাশিয়ামের অন্যতম উৎস। ছবি: সংগৃহীত
-
ডার্ক চকোলেট: এই মিষ্টিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভানল থাকে, যা রক্তনালীগুলোকে শিথিল করে এবং রক্তের প্রবাহ বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়া রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তবে রক্তচাপ কমানোর জন্য ডার্ক চকোলেট খাওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। বরং মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হলে ডার্ক চকলেটকে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে ধরা যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
কফি: কফিতে থাকা ক্যাফেইন সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক উভয় রক্তচাপকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। চাপে থাকলে হার্ট অনেক বেশি রক্ত পাম্প করে ফলে রক্তচাপ বাড়ে। ক্যাফেইন এই প্রভাবকে আরও তীব্র করে। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রোটিন: উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট (যেমন সাদা ময়দা এবং মিষ্টি) সয়া বা মিল্ক প্রোটিন (যেমন টোফু এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত) সমৃদ্ধ খাবার সিস্টোলিক রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
-
ধূমপান ত্যাগ: অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে ধমনীর দেওয়ালে চর্বিযুক্ত পদার্থ জমা হয়। এর ফলে রক্তচাপ বাড়ে। শুধু তাই নয়, এই চর্বিযুক্ত পদার্থ জমতে জমতে ধমনী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ধূমপান ছেড়ে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ছবি: সংগৃহীত