যেসব কারণে ঘনঘন প্রস্রাব হয়
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায় মল অথবা প্রসাবের মাধ্যমে। একজন মানুষ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অনেকবারই প্রসাব হয়। কিন্তু অনেকেই হয় তো সঠিকভাবে জানেনই না যে, দিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক। এবার জেনে নিন ঘনঘন প্রস্রাব হলে যেসব মারাত্মক রোগ হতে পারে।
-
দিনে ১ থেকে ২ লিটার পানি পান করলে ৬ থেকে ৭ বার প্রস্রাব হতে পারে। আর সেটা স্বাভাবিকও। কিন্তু যদি ঘনঘন অথবা দিনে ১০ থেকে ১৫ বার প্রস্রাব হয়, তা কিন্তু একেবারেই স্বাভাবিক নয়। কারণ শরীরে জটিল রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে এই সমস্যা। ছবি: সংগৃহীত
-
ঘনঘন প্রস্রাব এই সব রোগের উপসর্গ হতে পারে: এই সংক্রমণ নারীদের বেশি হয়। কিন্তু এই রোগ পুরুষদের দেখা দিতে পারে। এই সংক্রমণের একটি লক্ষণ হল ঘনঘন প্রস্রাব। আর প্রস্রাব করলেও তৃপ্তি পাওয়া যায় না। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রস্টেট বৃদ্ধি: যেসব পুরুষের বয়স ৫০ বছরের বেশি, তাদের মধ্যেই সাধারণত এই সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু কম বয়সীদের ঘনঘন প্রস্রাব হলে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
-
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। আর এই রোগ যে কোনো বয়সের মানুষের যে কোনো সময়ই হতে পারে এবং ঘনঘন প্রস্রাব হওয়াটাও এই রোগের লক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত
-
কিডনি বা ইউরেটিক স্টোন: বার বার প্রস্রাব হওয়া কিডনি স্টোনের উপসর্গ হতে পারে। কিডনিতে স্টোন হলে ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ আসে। তাই এই সমস্যা দেখা দিলে ফেলে না-রেখে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
-
যৌন বাহিত রোগ বা সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন: যৌন বাহিত রোগের কারণে কিংবা যৌন সংসর্গে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণের কারণে পুরুষদের ঘনঘন প্রস্রাব হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকী প্রস্রাব করার সময়ে ব্যথা এবং অস্বস্তিও অনুভূত হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
মূত্রথলির ক্যানসার: মূত্রাশয় হল প্রস্রাবের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যদি ঘনঘন প্রস্রাব হয়, তাহলে মূত্রথলির ক্যানসার পরীক্ষা করারও পরামর্শ দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
সব শেষে এটা বলা আবশ্যক যে, যারা ঘনঘন প্রস্রাবের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের অবশ্যই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। তারপর শরীরে কোনো মারাত্মক রোগ বাসা বেঁধেছে কি না, তা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই জেনে নেওয়া যাবে। তারপর সেই মতো চিকিৎসা করালে রোগ মুক্তি ঘটবে। ছবি: সংগৃহীত