দুধের সঙ্গে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরার অনেক গুণ। তবে এটি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে আরও বেশ উপকারী। জেনে নিন যে কারণে দুধের সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে খাবেন।
-
মাছের ঝোল অথবা যে কোনো তরকারির স্বাদ ও গন্ধ বাড়িয়ে তুলতে কালোজিরা জুড়ি নেই। এতে রয়েছে জরুরি নিউট্রিয়েন্টস। তবে অনেকেই হয় তো জানেন না যে, দুধের সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে খেলে তা আরও উপকারী। এর মধ্যে উপস্থিত জরুরি পুষ্টি উপাদান শরীরের কার্যক্ষমতা তো বাড়ায়-ই এর পাশাপাশি শরীরে এনার্জির জোগান দিতেও সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
-
পুরুষের জন্য কালোজিরা খুবই উপকারী উপাদান। এই দুধ খেলে দুর্বলতার সমস্যা দূর হয়। সেই সঙ্গে ফার্টিলিটির হারও অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। যেসব পুরুষ বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন, তারা যদি নিয়মিত কালোজিরা দুধ পান করেন, তাহলে উপকার পাবেন। কারণ এই পানীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং এটা যৌন স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। ছবি: সংগৃহীত
-
বলা হয়ে থাকে গর্ভাবস্থায় কালোজিরা ও দুধ খেলে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কারণ এই উপাদান দেহে রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। সেই সঙ্গে দেহে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়ামের জোগান দেয়। ফলে এই অবস্থায় গর্ভস্থ ভ্রূণের দেহ এবং দেহের অস্থি সুগঠিত হয়। এই দুধ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, পিরিয়ড চলাকালীন তলপেটে-কোমরে যে ব্যথা বা ক্র্যাম্প হয়, তা উপশম করতেও সাহায্য করে কালোজিরা-দুধ। ছবি: সংগৃহীত
-
কালোজিরা দেহের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। কারণ কালোজিরা এবং দুধ যখন একসঙ্গে মেশানো হয়, তখন এর পুষ্টিগুণ অনেকাংশেই বেড়ে যায়। আর এই দুই উপাদানে থাকা ক্যালোরি দেহে এনার্জির চাহিদাও পূরণ করে। তাছাড়া কালোজিরা আয়রন সমৃদ্ধ। ফলে তা স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ। ছবি: সংগৃহীত
-
যারা ক্রমবর্ধমান ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তারা কালোজিরা ও দুধ খেলে উপকার পাবেন। বলা হয় কালোজিরা দুধ শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সহায়তা করে। আর মেটাবলিজম ভালো হলে তা সহজেই ফ্যাট হজম করাতে সাহায্য করে। যার ফলে ওজন দ্রুত কমে। তার সঙ্গে এটি পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে। ছবি: সংগৃহীত
-
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বাড়াতে অত্যন্ত উপযোগী এই কালোজিরা-দুধ। আসলে কালোজিরার মধ্যে এমন সব অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা মৌসুমি রোগের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাশাপাশি এর মধ্যে রয়েছে জিঙ্ক। যা ইমিউন সেল কোষগুলকে শক্তিশালী করে তোলে। শুধু তা-ই নয়, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসঘটিত রোগের মোকাবিলা করার জন্যও দেহকে প্রস্তুত করে এই পানীয়। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঠান্ডা লাগলে অথবা সর্দি হলে কালোজিরা ও দুধ পান করতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
-
এগুলো ছাড়াও কালোজিরা-দুধের অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। এই পানীয় দেহের ব্যাড কোলেস্টেরল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এর মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ রোধ করে। ত্বকের সংক্রমণ কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, চোখ, ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী কালোজিরা। ছবি: সংগৃহীত
-
এই পানীয় বানাতে তিনটি উপাদানের প্রয়োজন কালোজিরা, দুধ এবং গুড়। একটি ছোট গুড়ের টুকরো নিয়ে তার সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। তারপর উষ্ণ গরম দুধে ওই মিশ্রণ মিশিয়ে নিলেই তৈরি কালোজিরা-দুধ। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তা পান করলে দারুণ ফল পাওয়া যাবে। ছবি: সংগৃহীত