এই সময়ে চা পান করলে কী হয়?
গ্রীষ্মকালে গরম কোনো পানীয় পান করতে কেউ পছন্দ করেন না। এ সময়ে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য সবাই ঠান্ডা পানীয় সন্ধান করেন। এমন সময়ে পানের ক্ষেত্রেও তখন সবাই আইসড টি বা বা বরফ দেওয়া চা পানের দিকেই ঝোঁকেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে আমাদের পাকস্থলী হলো একটি গরম অঙ্গ। এটা অনেকটা উনুনের মতো। তাই এটা কার্যকর রাখতে উত্তাপ দরকার। দেখে নেওয়া যাক গরমেও কেন গরম চা পান করা জরুরি।
-
শরীর শীতল রাখে: শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি যে বরফ শরীর আরও গরম করে দেয়। উষ্ণ চা পান শরীরকে শিথিল করতে, শান্ত করতে সাহায্য করে। গরম পানীয় স্বাভাবিকভাবে হোমিওস্ট্যাটিক তাপমাত্রায় শরীরকে ঠান্ডা করতে দেয়। ছবি: সংগৃহীত
-
হজম করতে সাহায্য করে: ঠান্ডা খাবার এবং বরফ দেওয়া পানীয় আমাদের পরিপাক ক্রিয়াকে দুর্বল করে। বিশেষত খাবারের পর ঠান্ডা পানীয় পান করলে পাচনতন্ত্রে রক্ত প্রবাহ সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। খাবারের সময় এবং পরে গরম চায়ে চুমুক দিলে হজমের সমস্যা কম হবে। ছবি: সংগৃহীত
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে: গরম চা শরীরে সঞ্চালন এবং পুষ্টির শোষণ বৃদ্ধি করে। ঠান্ডা পানীয় গ্রহণ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের গতি বাড়ায়, তাই অঙ্গগুলো সঠিকভাবে পুষ্টি শোষণ করতে পারে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, যদি শরীর বৃদ্ধি এবং মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত পুষ্টি না পায়, তাহলে অসুস্থতার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
ফুসফুস সুস্থ রাখে: শরীরে দীর্ঘমেয়াদী সর্দি জমে থাকা ফুসফুসের কার্যকারিতাকে সত্যিই দুর্বল করে দিতে পারে যা সাইনাস সংক্রমণ, অ্যালার্জি, এবং হাঁপানির মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিকাশ ঘটায়। অত্যধিক ঠান্ডা শরীরে প্রবেশ করার ফলে গলার রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয়। উষ্ণ শরীর মানেই হলো স্বাস্থ্যকর ফুসফুস। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রজনন সমস্যা দূর করে: উষ্ণ চা পান স্বাস্থ্যকর রক্ত প্রবাহকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। ঠান্ডা পানির অত্যধিক ব্যবহার প্রজনন ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যার ফলে ঋতুকালীন স্রাবের সমস্যা, ক্র্যাম্প এবং শেষ পর্যন্ত বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যাও হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
ওজন কমাতে সাহায্য করে: ঠান্ডা পানি শরীরের মধ্যে চর্বিকে শক্ত করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, গরম পানি তা গলিয়ে দেয়। তাই গরম চা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একটি প্রধান সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়। ছবি: সংগৃহীত