সপ্তাহে কয়দিন ডিম খাওয়া উচিত?
ডিমকে বলা হয় আদর্শ খাবার। নিয়মিত ডিম খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে নিয়ম মেনে ডিম খেতে হবে। এবার জেনে নিন সপ্তাহে কতদিন ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
-
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের র্জানালের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রাপ্তবয়স্করা সপ্তাহে তিন থেকে চারটি ডিম খেলে তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কুসুমে কোলেস্টেরল, ভিটামিন ও প্রোটিনের পরিমাণ অত্যাধিক হওয়ায় ডিম হার্টের অসুখের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত
-
এমনকী, নতুন এই গবেষণা অনুযায়ী, রেড মিট, অ্যালকোহোল ও কফির থেকেও ডিমই দ্রæত হৃদরোগের দরজায় পৌঁছে দেয়। ছবি: সংগৃহীত
-
পুরোনো গবেষণায় অবশ্য বরাবরই উল্টো তথ্য উঠে এসেছে। ২০০৪-২০০৭ সালে হওয়া একটি গবেষণার মাধ্যমে চীনের বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন, রোজ একটি করে ডিম খেলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ২৬ শতাংশ কমে যায়। আন্তর্জাতিক হেলথ র্জানাল হার-এ এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
-
প্রায় ৩০০০০ হাজার প্রাপ্ত বয়স্কের উপরে এই সমীক্ষা করা হয়। রিপোর্টে দেখা যায়, রোজ একটি করে ডিম খেলে হৃদরোগের সম্ভাবনা প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়ে যায় এবং শীঘ্র মৃত্যুর সম্ভাবনাও ১৮ শতাংশ বেড়ে যায়। সপ্তাহে ৩-৪টি ডিম খেলেও হার্টের অসুখের সম্ভাবনা ৬ শতাংশ বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত
-
চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত কোলেস্টেরলের কারণেই এই সমস্যা। ডিমে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে হাই ডেনসিটি কোলেস্টেরল ও লো ডেনসিটি কোলেস্টেরল। এই দুই কোলেস্টেরলের অনুপাতের মধ্যে সমতা থাকলে হৃদরোগের চোখ রাঙানি থেকে দূরে থাকা যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
কিন্তু র্বতমানে আমরা ডিমের সঙ্গে মাখন, চিজ, বেকন ইত্যাদি খাই, যার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সেই জন্যই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও দিন দিন বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত
-
তবে ডিমপ্রেমীরা হতাশ হবেন না। যেহেতু কুসুমই কোলেস্টেরলের মূল উৎস তাই কুসুম বাদ দিয়ে ডিম খান। চেষ্টা করুন ডিমের সঙ্গে মাখন, চিজের মতো প্রোটিন ও কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার না খাওয়ার। সপ্তাহে ১-২টি গোটা ডিম খেতে পারেন। আর ডিমের আসল স্বাদ উপভোগ করতে ডিম সিদ্ধ বা পোচড ডিম খান। ছবি: সংগৃহীত