কোলবালিশ নিয়ে ঘুমালে কী হয়?
কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোকে কেউ কেউ বিলাসিতা মনে করেন। অনেকেই কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানো বেশ পছন্দ করেন। কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস ভালো নাকি মন্দ এ বিষয়ে অনেক কথা প্রচলিত রয়েছে। এবার জেনে নিন কোলবালিশ নিয়ে ঘুমালে কী হয়?
-
চিকিৎসকরা দাবি করছেন, দুপায়ের মাঝে কোলবালিশ নিয়ে ঘুমোলে মেরুদণ্ড ভালো থাকে। এতে মেরুদণ্ডের বিভিন্ন ব্যথা কমতে পারে। কারণ এতে মেরুদণ্ডের আকার একদম ঠিকঠাক থাকে। ছবি: সংগৃহীত
-
শুধু তাই নয় কোল বালিশ নিয়ে ঘুমালে সায়াটিক নার্ভের ব্যথা কমে। যারা ক্রনিক পিঠের ব্যথায় ভোগেন, তারা কোলবালিশ নিয়ে ঘুমোলে উপকার পেতে পারেন। কারণ এই অভ্যাসের কারণে পুরোনো জেদি ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন অল্প সময়ের মধ্যেই। ছবি: সংগৃহীত
-
অনেক সময়ে বিশেষজ্ঞরা অন্তঃসত্ত্বাদের কোলবালিশ নিয়ে ঘুমোনোর পরামর্শ দেন। তবে সেই কোলবালিশগুলো বিশেষ আকৃতির হয়। এর ফলে ভ্রূণও সঠিক অবস্থানে নিরাপদে থাকে ঘুমের মধ্যে। ছবি: সংগৃহীত
-
আপনি কি চিৎ হয়ে ঘুমোতে পছন্দ করেন? তাহলে মেরুদণ্ডের নিচে একটি পাতলা কোলবালিশ রাখতে পারেন। এতে পিঠের ব্যথাও কমবে আবার মেরুদণ্ডও স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে। এমনটাই পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। ছবি: সংগৃহীত
-
শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখে, দুই পায়ের মাঝে কোলবালিশ দেওয়ার ফলে দুটি পা রান ও হাঁটুর দিক থেকে মিলে যায় না। এ কারণে শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে, এমনটাই দাবি করছেন গবেষকরা। এক্ষেত্রে তাদের ব্যাখ্যা হলো, যারা কোলবালিশ ব্যবহার করেন না, তাদের দুই হাঁটু একত্রে মিলে থাকে। এতে করে মাজার উচ্চতা থেকে পায়ের দিকের উচ্চতা কমে যায় এবং রক্ত চলাচলে বাধা পায়। ছবি: সংগৃহীত
-
হাঁটুর সমস্যা থেকে মুক্তি, দুই পায়ের মাঝে থাকার ফলে মেরুদণ্ডের সঙ্গে হাঁটুর হাড়ের চাপ স্বাভাবিক থাকে। ফলে এ অভ্যাস সহজেই হাঁটুর ব্যথার সঙ্গে আপনার দেখা করাবে না। ছবি: সংগৃহীত
-
নাক ডাকা সমস্যার সমাধান, যারা কোলবালিশ নিয়ে ঘুমান তারা ডান কাত অথবা বাম কাতে ঘুমান। আর এর ফলে নাক ডাকা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। যাদের নাক ডাকার অভ্যাস আছে, তারা চিৎ হয়ে শোয়ার ফলে নাক ডাকেন। তাই এমন ব্যক্তিদের কোলবালিশ নেওয়া উচিত। ছবি: সংগৃহীত