যক্ষ্মা নিয়ে যত ভুল ধারণা
যক্ষ্মা একটি ব্যাকটেরিয়া বাহিত রোগ। মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামক ব্যাকটেরিয়া শ্বাসযন্ত্রকে সংক্রমিত করে ফলে যক্ষ্মা রোগ হয়। করোনাভাইরাসের মতো এই ব্যাকটেরিয়াও বাতাসে ভেসে বেড়ানো ড্রপলেটের মধ্যে দিয়ে শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। তবে যক্ষ্মা নিয়ে এখনো আমাদের মাঝে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে। এবার জেনে নিন সে সম্পর্কে।
-
ফুসফুসের পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন কিডনি, মস্তিষ্ক, হাড় এবং মেরুদণ্ডেও এই ব্যাক্টেরিয়া প্রভাব ফেলতে পারে। এক্ষেত্রে লক্ষণ এবং উপসর্গ ভিন্ন হয়। ফুসফুসের বাইরে যে যক্ষ্মা হয় তাকে এক্সট্রাপালমোনারি টিউবারকুলোসিস বলে। ফুসফুস কিংবা শ্বসনালীতে সংক্রমিত হলেই রোগীর শরীর থেকে অন্যের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের অন্য অঙ্গে সংক্রমণ হলে সেই রোগী থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। তাই যক্ষ্মা মানেই ছোঁয়াচে রোগ নয়। ছবি: সংগৃহীত
-
যক্ষ্মা কোনো জিনবাহিত রোগ নয়। এই রোগের বিস্তারের ক্ষেত্রেও জিনের কোনো ভূমিকা নেই। এই ব্যাকটেরিয়া যে কোনো সময় যে কাউকে সংক্রমিত করতে পারে। বাবা-মায়ের যক্ষ্মা হলেই সন্তানের মধ্যে যক্ষ্মা রোগের সম্ভাবনা বাড়ে, এই তথ্যের কোনো রকম সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ছবি: সংগৃহীত
-
অনেকেই মনে করেন এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। এমনটা এখন মোটেই ঠিক নয়। প্রাথমিক পর্যায় এই রোগ ধরা পড়লে ওষুধের মাধ্যমেই এই রোগের বিরুদ্ধে জয়লাভ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে খুব বেশি দিন কাশি হলে কিংবা কাশির সঙ্গে রক্ত বের হলে দেরি করবেন না। তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ছবি: সংগৃহীত
-
শিশুর জন্মের পরই বিসিজি টিকা দেওয়া হয়। বিসিজি টিকা শিশুদের মধ্যে যক্ষ্মা সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। যদিও, এই টিকা থেকে প্রাপ্তবয়স্করা কতটা সুরক্ষিত তা জানা যায়নি। যে শিশু টিকা নিয়েছে তার বড় হলে যক্ষ্মা হবে না এমনটাও সঠিক নয়। ছবি: সংগৃহীত
-
অনেকেই মনে করেন ধূমপান না করলে যক্ষ্মার ঝুঁকি কম। এমনটা কিন্তু নয়। ধূমপানই যক্ষ্মা হওয়ার একমাত্র কারণ নয়। এইচআইভি, ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগ থাকলেও যক্ষা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ছবি: সংগৃহীত