শরীরে যেসব উপাদানের অভাবে রাতে ঘুম হয় না
ঘুমের সমস্যার কথা এখন অনেকেরই কাছে শোনা যায়। অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না।
-
শরীরের জন্য পটাশিয়াম অত্যন্ত জরুরি একটি খনিজ, যা নার্ভের বিভিন্ন কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। একই সঙ্গে মাংস পেশীর মধ্যে একটা সামাঞ্জস্য বজায় রাখে। পাশাপাশি শরীরে তরল পদার্থের সমতাও বজায় রাখে। ছবি: সংগৃহীত
-
তবে পটাশিয়ামের চেয়ে জরুরি কাজ হলো হৃদস্পন্দনে সাহায্য করা। যখন শরীরে পটাশিয়ামের অত্যন্ত পরিমাণে অভাব হয়ে থাকে তখন ডাক্তারি পরিভাষায় তাকে হাইপো কালেমিয়া। তবে এই পরিস্থিতি তখনই উৎপন্ন হয় যখন কোনো ব্যক্তির শরীরের পটাশিয়ামের স্তর ৩.৬ মিলিমোলস প্রতি লিটারের কম হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
বেশ কিছু সময়েই লক্ষ্য করা গিয়েছে যে খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম না থাকার জন্য শরীরে পটাশিয়ামের অভাব দেখতে পাওয়া যায়। এর ফলে গা বমিবমি ভাব বা ডায়রিয়াও হতে পারে পটাশিয়ামের অভাবে। পটাশিয়ামের অভাবে শরীরে বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
আধুনিক গবেষণায় এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে শরীরে পটাশিয়ামের অভাব হলে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় এরফলে ঘুমকে প্রভাবিত করে। ক্রমেই বাড়তে থাকে অনিন্দ্রা। শরীরে পটাশিয়াম লেবেল কম হলেই উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। বিশেষত সোডিয়ামের স্তর বেড়ে গেলেও বিপত্তি দেখা দেয়, অর্থাৎ বেশি পরিমাণে লবণ খেলে। ছবি: সংগৃহীত
-
পটাশিয়াম রক্ত প্রবাহকে মাঝে মাঝে বিশ্রাম দেয় ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে উচ্চ রক্তচাপ। পটাশিয়াম সোডিয়াম লেবেলের সমতা বজায় রাখে। হার্ট রিদম বা হৃদয়ের লয় অনিয়মিত হলে হাইপোকেলোমিয়া বা পটাশিয়াম ঘাটতির সংকেত দেয়। হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয় ফলত প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকি বেড়েই যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
শরীরে পটাশিয়ামের অভাব থাকলে এনার্জি শরীরে একদমই থাকে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্তি অত্যন্ত পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়। শরীরে পটাশিয়ামের অভাব হলে পেট ফুলতে পারে বা কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। পাচনক্রিয়া ধীর গতিতে হলেই এই সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় শরীরে। ছবি: সংগৃহীত
-
শরীরে পটাশিয়ামের স্তর বজায় রাখতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাওয়া উচিত আলু, ডালিম, রাঙা আলু, পালং শাক, সাদা বিন, ডাবের পানি, বিট, সয়াবিন, টমেটো ইত্যাদি। ছবি: সংগৃহীত