যাদের বয়সের সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় বেশি
মানুষের শরীরকে কেউ কেউ আজব যন্ত্র বলে থাকেন। নারী-পুরুষ ভেদে একেক বয়সে ভিন্ন ভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় মানবদেহ। এসব রোগের মধ্যে অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় অন্যতম। এবার জেনে নিন যাদের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় দেখা দেয়।
-
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে হাড়ের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। দেখা গিয়েছে সাধারণ পুরুষদের চেয়ে নারীদের মধ্যেই কয়েক ধরনের হাড়ের রোগ বেশি হচ্ছে। যেমন, অস্টিওপোরোসিস। এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, বিশ্বে বয়সজনিত কারণে হাড়ে যে সমস্যাগুলো বা রোগ দেখা দেয় তার মধ্যে অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। ছবি: সংগৃহীত
-
বয়স ৩০ ছাড়িয়ে গেলেই অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই রোগ হলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে হাড় ধীরে ধীরে দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। তবে পুরুষদের চেয়ে নারীদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। মেনোপজ বা ঋতুবন্ধ হওয়ার পরে নারীরা সবচেয়ে বেশি অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হন। ছবি: সংগৃহীত
-
সারাবিশ্বে বয়স পঞ্চাশ বছর ছাড়িয়ে গিয়েছে এমন নারীদের তিনজনের মধ্যে একজন আক্রান্ত হন এই রোগে। তবে পুরুষরাও যে খুব সুরক্ষিত আছেন এমন মনে করার কারণ নেই। পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গিয়েছে এমন পুরুষদের ক্ষেত্রে পাঁচ জনের মধ্যে একজন এই রোগে আক্রান্ত হন। এই মুহূর্তে সারাবিশ্বে প্রায় ২০ কোটি মানুষ অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত। ছবি: সংগৃহীত
-
এশিয়াজুড়েই এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। বয়স্কদের হাড় ভাঙার অন্যতম কারণ এই রোগ। সাধারণত অস্টিওপোরোসিসের কোনো লক্ষণ নেই। তবে এই রোগে আক্রান্ত রোগী হাড়ে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। আপনা থেকেই হাড় ভেঙেও যেতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার হালকা চোট পেলেই হাড় ভেঙে যেতে পারে। অর্থাৎ হাড়ের ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় হতে শুরু করে। ছবি: সংগৃহীত
-
মূলত জীবনশৈলীর পরিবর্তন করতে হবে। নিয়মিত খাওয়াদাওয়া, পাশাপাশি শরীরচর্চা করতে হবে নিয়মিত। শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকলে ওষুধ খেতে হবে। নিয়মিত খেলাধুলো করা, শরীরের ওজন ঠিক রাখা দরকার। ছবি: সংগৃহীত
-
এসব করতে হবে ছোট বয়স থেকেই। তবেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি নজর রাখতে হবে যেন শরীরে চোট আঘাত কম লাগে। বিশেষ করে হাড় ভাঙা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। ছবি: সংগৃহীত