গরমে নিয়মিত আখের রস পানের উপকারিতা
গরম পড়তে শুরু করেছে। এই সময়ে শরীরে পানির স্বল্পতাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই আখের রস নিয়মিত পান করার চেষ্টা করুন।
-
গরমে পানিশূন্য বা ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে এক গ্লাস আখের রস পান করুন। এটা শুধু আপনার তৃষ্ণাই নিবারণ করবে না আপনার ডিহাইড্রেশন জনিত ক্লান্তি দূর করে আপনাকে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাবে। আপনার শরীর আখের রসে থাকা সুক্রোজ সহজেই শুষে নেয় এবং শরীরের হারিয়ে যাওয়া চিনির মাত্রাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। ছবি: সংগৃহীত
-
ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করতে আখের রস খুবই কার্যকরী। ব্রণের সমস্যা দূর করতে আখের রসের সাথে মূলতানি মাটি মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এখন এই পেস্টটি মুখে মেখে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুদিন করে এক মাস ব্যবহার করলেই ফল পাবেন। ছবি: সংগৃহীত
-
আখের রসে আছে প্রচুর ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম এবং ইলেক্ট্রোলাইট। এই জন্যেই আখের রস ব্যায়েমের পর একটি আদর্শ পানীয়। যদি ম্যারাথনে দৌড়াতে চান বা রোদে অনেক সময় ব্যয় করার প্ল্যান থাকে তাহলে এক গ্লাস আখের রস খেয়ে নিন। আখের রসের ইলেক্ট্রোলাইট শরীরের পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ডিহাইড্রেশান দূর করে। ছবি: সংগৃহীত
-
আখের রস এক ধরণের এলকালাইন কারণ এতে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, এবং ম্যাঙ্গানিজ। এই খনিজগুলো ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধ করতে সহযোগিতা করে, যেহেতু ক্যান্সারের কোষ এলকালাইন পরিবেশে বাঁচতে পারে না। তাই নিয়মিত আখের রস পান করলে প্রস্টেট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। ছবি: সংগৃহীত
-
আখের রসের পটাশিয়াম হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আখের রসে থাকা পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করলে হজমে সহায়ক একাধিক পাচক রসের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যে কারণে খুব দ্রুত হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। এছাড়া আখের রস ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে সুস্থ রাখে এবং পাকস্থলির ইনফেকশান রোধ করে। ছবি: সংগৃহীত