গ্যাস্ট্রিক-বদহজম থেকে দূরে থাকার সহজ উপায়
অ্যাসিডিটির সমস্যায় আজকাল ভোগেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। মূলত অনিয়মিত খাওয়ার রুটিন, অনিয়মিত ঘুম, ভাজা-পোড়া খাওয়া, জাঙ্ক ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার কারণেই দেখা দেয় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। পেট ফাঁপা, বুক ও গলা জ্বালা ও বদহজম মূলত হজমের সমস্যা থেকেই দেখা দেয় অ্যাসিডিটি। এজন্য অ্যান্টাসিড খেতে হবে না, কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করলেই এ থেকে মুক্তি পাবেন।
-
অনেকে রান্নায় চিনি ব্যবহার করনে। আজ থেকে তা বন্ধ করে দিন। পাশাপাশি কাঁচা চিনিও খাবেন না। মধু, গুড় ব্যবহার করতে পারেন। একই সঙ্গে রান্নায় কম লবণ দিন। অতিরিক্ত লবণ খেলেও গ্যাস-অম্বল হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে যা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড। তাই প্রতিদিন একটি করে কলা খান, অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে যাবে। ছবি: সংগৃহীত
-
তুলসীপাতা পাকস্থলিতে শ্লেষ্মার মতো পদার্থ উৎপাদন বাড়ায়। এ ছাড়াও এতে রয়েছে বায়ুনাশক উপাদান যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার মোকাবিলা করে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কিংবা ঢেকুর উঠলেই ৫-৬টি তুলসীপাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। অথবা ৩-৪টি তুলসীপাতা সেদ্ধ করে সেই পানিতে একটু মধু মিশিয়ে খান, আরাম পাবেন। ছবি: সংগৃহীত
-
অসময়ে চা-কফি পান করলে অম্বল হয়। বিশেষ করে খালি পেটে কফি আর দুধ চা পান করা মারাত্মক ক্ষতিকর। লিকার চা খাওয়া অভ্যাস করুন। ছবি: সংগৃহীত
-
খাওয়ার পর মৌরি চিবিয়ে খেলে হজম ভালো হয়, অ্যাসিডিটিও হয় না। এক গøাস জলে ১ চা-চামচ মৌরি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পান করুন, শরীর ঠান্ডা থাকবে, গ্যাস অম্বলের সম্ভাবনাও কমবে। ছবি: সংগৃহীত
-
ঠান্ডা দুধ খেলে পাকস্থলির গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড স্থিতিশীল হয়ে আসে। দুধে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরি প্রতিরোধ করে। তাই অ্যাসিডিটির সমস্যা হলেই এক গøাস ঠান্ডা দুধ পান করুন। টক দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে অ্যাসিড জমা হওয়া প্রতিরোধ করে। টক দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে। ছবি: সংগৃহীত
-
দারুচিনিতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। আধ চা-চামচ দারচিনি গুঁড়ো এক কাপ পানিতে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর ঠান্ডা করে পান করুন। প্রতিদিন এভাবে তিনবার দারুচিনির পানি পান করলে বদহজম আর অ্যাসিডিটি দূর হবে। ছবি: সংগৃহীত