পেঁয়াজের খোসা শরীরের যেসব উপকার করে

ত্বকের যত্ন: যাদের চায়ের নেশা আছে, তারা দিনে একবার পেঁয়াজের খোসা মিশিয়ে চা পান করতে পারেন। তাহলে চায়ের নেশা কেটে যাবে। পেঁয়াজের খোসায় ভিটামিন ‘এ’ সহ আরও বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে খুবই সহায়ক। এছাড়া নিয়মিত পেঁয়াজের খোসাযুক্ত চা খেলে ড্রাই স্কিনের সমস্যাও দূর হয়। কারণ এটি ত্বকের নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ঋতু পরিবর্তনের সময় প্রায়শই আমরা কাশি, সর্দি এবং জ্বরের কবলে পড়ি। এই সমস্ত কিছু মোকাবেলায় পেঁয়াজের খোসা খুব কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়। পেঁয়াজের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং ভাইরাসজনিত রোগ এড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, পেঁয়াজের খোসা মেশানো চা খেলে গলা ব্যথার সমস্যাও দূর হয়। ছবি: সংগৃহীত

চুল বৃদ্ধি: পেঁয়াজের খোসা আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। পানিতে এই খোসা সিদ্ধ করে নিন, সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেললে এতে চুল দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং মাথার খুশকির সমস্যাও দূর হয়। আসলে পেঁয়াজ এবং এর খোসায় প্রচুর পরিমাণে সালফার পাওয়া যায়, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সহায়ক। তাছাড়া এই পানি নিয়মিত ব্যবহারে চুল কালো ও ঘন হয়। ছবি: সংগৃহীত

পেশীর সমস্যা দূর হবে: যদি কেউ পায়ে ব্যথার সমস্যায় এবং পেশীতে খিঁচুনির কারণে ভুগতে থাকেন তাহলে তা থেকে মুক্তি পেতে পেঁয়াজের খোসা থেকে তৈরি চা খেতে পারেন। এর জন্য ১ গ্লাস পানিতে পেঁয়াজের খোসা রেখে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে তা পরিশ্রুত করতে হবে। আপনি চাইলে পেঁয়াজের খোসা থেকে তৈরি চায়ের স্বাদ বাড়াতে একটু মধুও যোগ করতে পারেন। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে হওয়ার আগে পেঁয়াজের খোসা দিয়ে তৈরি চা খেলে পায়ে ব্যথা ও খিঁচুনি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত

চুলকানি থেকে মুক্তি: পেঁয়াজের খোসায় অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অ্যাথলিটস ফুট নামক চুলকানি ত্বকের মতো রোগ থেকে মুক্তি পেতে উপকারী প্রমাণিত হয়েছে। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য পানিতে পেঁয়াজের খোসা রেখে ভালো করে ফুটিয়ে নিন এবং যখন পানি আর বাকি থাকবে তখন এটি ঠান্ডা করে বোতলে ভরে নিন। এবার এই পানি প্রতিদিন ত্বকে লাগান, এতে আক্রান্ত স্থানে চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। ছবি: সংগৃহীত