লিভার সুস্থ রাখবে ৫ স্বাস্থ্যকর পানীয়
বর্তমানে দেশের অনেকে মানুষ লিভার রোগে আক্রান্ত। এই রোগে কেউ আক্রান্ত হলে সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে। বেশি জটিলতা দেখা দিলে অনেক ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই যাতে এই রোগটি না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।
-
শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে লিভার অন্যতম, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই লিভারের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। লিভার এমন একটি অঙ্গ যে নিজেই নিজেকে পরিষ্কার করে, কিন্তু যদি সারাদিন খুব খারাপ বা জাঙ্ক ফুড খাওয়া হয়, তা হলে লিভারের উপর চাপ তো পড়েই। কারণ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি এটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আমাদের বিভিন্ন অঙ্গে পৌঁছে দেয়, খাবার হজম করে সারাক্ষণ এবং আরও একাধিক কাজ করে থাকে। ছবি: সংগৃহীত
-
এ বিষয়ে কনসালট্যান্ট নিউট্রিশনিস্ট রূপালি দত্ত বলেন, প্রতিদিন শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ৫০০টি কাজ লিভার করে থাকে। এটি নিজেকে পরিষ্কারও রাখে। তাই লিভারে সঠিক খাবার এবং ভালো খাবার দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এই সব মাথায় রেখে কিছু ডিটক্স পানীয় ডায়েটে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন নিউট্রিশনিস্ট। ছবি: সংগৃহীত
-
সকালের শুরুর কফি দিয়ে করে থাকেন অনেকেই। এই পানীয় সকাল শুরুর জন্য পারফেক্ট। সারাদিনের কফি এনার্জি দিয়ে থাকে শরীরকে। অনেক সমীক্ষা বলছে, কফি লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এবিষয়ে নিউট্রিশনিস্ট রূপালি দত্ত বলছেন, পরীক্ষামূলক বেশ কয়েকটি সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে, লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে কফি। লিভারে ফ্যাট জমাট বাঁধতে পারে না এই পানীয়র জন্য। ছবি: সংগৃহীত
-
নিউট্রিশন বায়োক্যামেস্ট্রি নামের একটি জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা। যা থেকে জানা যাচ্ছে, ব্যায়ামের পাশাপাশি লিভার ভালো রাখতে ভূমিকা রয়েছে গ্রিন টির। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন তাদের শরীর এবং শরীরে খাদ্য বন্টনের প্রক্রিয়া আলাদা হয়। এটি মাথায় রেখেই গ্রিন টি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গ্রিন টিতে এ ছাড়াও অনেক পুষ্টিগুণ থাকে যা লিভার ছাড়াও শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভালো রাখতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
-
হলুদ যে একটি সুপারফুড তাতে কোনো সন্দেহ নেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শরীরের ক্ষত সারানোয় হলুদের জুড়ি মেলা ভার। ভারতীয় পুষ্টিবিদ রুপালি দত্ত বলছেন, হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস থাকে যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হলুদ রক্ত চলাচলও ঠিক রাখে। সর্বোপরি লিভার ভালো রাখে। দুধের সঙ্গে খাওয়ার পাশাপাশি চায়ের সঙ্গে মিশিয়েও হলুদ খাওয়া যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
শরীর ভালো রাখতে আমলা বা আমলকির রস অত্যন্ত উপকারী। এটিতে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস উপাদানের পাশাপাশি থাকে, অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি উপাদান, ভিটামিন সি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ। এই উপাদানগুলো থাকায় আমলকি টক্সিন বের করে লিভারকে ভালো রাখে। লিভার ফাইব্রোসিসের মতো রোগ থেকে দূরে রাখতেও এই ফল সাহায্য করে। এছাড়াও এর অন্যান্য উপাদান শরীর ভালো রাখে। আমলা রোজকার ডায়েটে যুক্ত করলে নিজেই তার ফল বোঝা যাবে। ছবি: সংগৃহীত
-
বিটেও প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। যা ডায়েটে রাখা অত্যন্ত জরুরি। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস, পেকটিন, ফোলেট, বেটালাইন, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি থাকে এতে। রুপালি দত্ত বলছে, এই সমস্ত উপাদানে জন্য এটিও সুপারফুডের মতোই। এটি টক্সিন বের করে লিভার ভালো রাখে। বিটরুট রান্না করে খাবার পাশাপাশি বিটরুটের জুসও খাওয়া যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত