অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খেলে ভারসাম্য রাখতে যা খাবেন
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এজন্য স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা মাত্রাতিরিক্ত লবণ খান না। কিন্তু বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে আমাদের শরীরে অনেক সময় অতিরিক্ত লবণ প্রবেশ করে। এবার জেনে নিন অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খেলে ভারসাম্য রাখতে যা খাবেন।
-
লবণ ছাড়া খাবার স্বাদহীন। আবার খাবারে অতিরিক্ত লবণ হয়ে গেলেও তা মুখে তোলা কঠিন। শরীরের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। লবণে মূল উপাদান সোডিয়াম ক্লোরাইড। মানুষের জীবন ধারণের জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। কিন্তু এটাই অত্যধিক মাত্রায় শরীরে গেলে হৃদরোগ এবং রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ, কিডনির সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগ লবণের হাত ধরেই বাসা বাঁধে শরীরে। ছবি: সংগৃহীত
-
লবণের পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমে যায়, এতে ব্রেন স্ট্রোকের ভয় থেকে যায়। মূত্রের মাধ্যমে বাড়তি লবণ শরীর থেকে বের করে। কিন্তু কিডনির কোনো সমস্যা থাকলে সেই বাড়তি লবণ শরীর থেকে বের হতে না পেরে মারাত্মক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত লবণে ক্ষয়ে যেতে থাকে হাড়ের ক্যালসিয়াম। তাই অস্থিসন্ধি ও হাড়ের নানাবিধ অসুখে প্রত্যক্ষভাবে লবণের ভূমিকা রয়েছে। এ কারণে প্রতিদিনের খাবারের মাধ্যমে শরীরে অতিরিক্ত নুন যাচ্ছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
-
শরীরে সোডিয়াম বেশি হলে: অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোলা ভাব দেখা যায়। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। কিডনির সমস্যা দেখা যায়। ঘন ঘন প্রস্রাব পেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
সোডিয়াম শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। যা শরীরের কোষের কার্যক্ষমতা বজায় রাখে। পেশীকে শিথিল করে। মানব শরীরে রোজ ২,৩০০ মিলিগ্রাম প্রয়োজন। অর্থাৎ দিনে ১ চামচ পরিমাণই লবণই যথেষ্ট। অতিরিক্ত লবণ শরীরে গেলে পানির ভারসাম্য নষ্ট হয়। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে। পাশপাশি, পেশিতে খিচুনি, বিভ্রান্তি, কোমা এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
-
কলা: শরীরে লবণের মাত্রা বেশি হলে কলা দারুণ কাজে আসে। এটা পটাশিয়ামে ভরপুর। ফলে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। কলা পর্যাপ্ত ফাইবার যোগায়। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
দই: আরেকটি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হলো দই। অতিরিক্ত সোডিয়ামের মোকাবিলায় এর জুড়ি মেলা ভার। শুধু তাই নয়, নিয়মিত দই খেলে অন্ত্র সুস্থ রাখে। সঙ্গে জিভের স্বাদও বদলায়। ছবি: সংগৃহীত
-
কিউয়ি ফল: কিউয়ি ফলে অ্যাক্টিনিডিন নামক এনজাইম আছে যা, প্রোটিন দ্রবীভূত বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। ফাইবার থাকার কারণে হজমে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম থাকায় স্বাস্থের জন্যও খুবই উপকারি। প্রতিদিন যদি ২টি করে কিউই ফল খেলে অক্সিডেটভ স্ট্রেস হ্রাস পায়। এছাড়াও কিউইতে ম্যাগনেশিয়ামের থাকায় হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। যদি মনে হয় শরীরে অতিরিক্ত লবণ গিয়েছে, তাহলে চোখ বন্ধ করে কিউয়ি ফল খেলে নিমেষে উপকার মিলবে। ছবি: সংগৃহীত
-
আদা চা: শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য ঠিক রাখতে আদা চায়ের বিকল্প নেই। এই ভেষজ চা নিয়মিত পান করলে হজমশক্তি বাড়ে। শরীরের ফোলাভাব কমায়। ছবি: সংগৃহীত