কোন ধরনের চা পান করলে ওজন বাড়ে?
এখন যেকোনো অতিথি আপ্যায়নে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি চা না থাকলে যেন বড় ধরনের অপূর্ণতা রয়ে যায়। তাছাড়া অনেকের প্রতিদিন গড়ে চার-পাঁচ কাপ চা পান করা অভ্যাস হয়ে গেছে। এবার জেনে নিন কোন ধরনের পান করা শরীরের জন্য ভালো।
-
আমরা চা বলতে বুঝি ভালো করে দুধ-চিনি দিয়ে ফোটানো মিষ্টি চা। তার সঙ্গে আদা ও নানা রকম মসলা যোগ করলে তো কথাই নেই। এতে চায়ের মিষ্টি ভাব এবং স্বাদ ও গন্ধ চাকে নিখুঁত করে তোলে। ছবি: সংগৃহীত
-
আসলে চা বানাতে ব্যবহৃত ফুল-ফ্যাট দুধ এবং রিফাইন করা চিনি কিন্তু ক্যালোরি বাড়িয়ে দিতে পারে। বানানোর উপকরণ ও পদ্ধতি অনুযায়ী, সাধারণ এক কাপ চায়ে থাকে ১২৬ ক্যালোরি। ১০০ মিলিলিটার ফুল ফ্যাট দুধে থাকে ৬২ ক্যালোরি, এক টেবিলচামচ চিনিতে রয়েছে ৪৮ ক্যালোরি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, চা খেলে ক্যালোরিও চড়চড় করে বাড়বে। এবার বেশির ভাগ মানুষ দিনে অন্তত ২ থেকে ৫ বার চা খায়। আর এটাই কারো কারো ওজন না কমার বড় কারণ। ছবি: সংগৃহীত
-
চাপ্রেমীদের কাছে চা খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করা অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো। চা খাওয়ার অভ্যেস ত্যাগ করার কোনো প্রয়োজন নেই। চা বানানোর উপকরণের পরিমাণ একটু কমিয়ে দিলে চা খেতে আর অসুবিধা থাকবে না। ছবি: সংগৃহীত
-
রিফাইন করা চিনি চায়ের স্বাদ অতুলনীয় করে তোলে। তবে এর কোনো পুষ্টিগুণ থাকে না। আসলে চা-প্রেমীদের কাছে চিনি ছাড়া চা একটা বিস্বাদ খাবার। তাই নিজের ওজন কমাতে করতে চা বানানোর সময় চিনির ব্যবহার কমাতে হবে। আর সেটা সম্ভব না হলে দিনে চা খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। সেটাও সম্ভব না হলে চিনির পরিবর্তে মধু, গুড় অথবা কনডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। আর যদি কেউ চায়ের মধ্যে চিনির স্বাদ চান, তা হলে সুইটনার অথবা স্টেভিয়া ব্যবহার করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
-
শুধু তা-ই নয়, চায়ে ব্যবহৃত দুধের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ দুধও ক্যালোরি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এক্ষেত্রে সম্ভব হলে ফুল ফ্যাট দুধের পরিবর্তে ওটস্ দুধ, আমন্ড অথবা সোয়া দুধের মতো ডেইরি-ফ্রি দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। মিষ্টি গুঁড়ো দুধও ক্যালোরি বাড়িয়ে দেয়। তার জায়গায় লো ফ্যাট দুধ ব্যবহার করা যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
আর চায়ে তুলসী, আদা, লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনিসহ নানান রকম মসলা ব্যবহার করলে এর স্বাদ-গন্ধ আরও বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে চায়ের পুষ্টিগুণও বাড়ে আর মেটাবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
-
বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ এক কাপ চায়ে সে রকম সমস্যা হয় না। আর উপকরণ এদিক ওদিক করে নিলে তো কথাই নেই। শুধু মনে রাখা দরকার, সমস্যাটা চা পাতায় নয়, সমস্যাটা চা বানানোর উপকরণেই থাকে। ছবি: সংগৃহীত