শীতে শ্বাসকষ্ট হলে যা করবেন
শীত এলে বিভিন্ন রকম রোগ দেখা দেয়। এসব রোগের মধ্যে শ্বাসকষ্ট অন্যতম। এবার জেনে নিন শীতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে যা করবেন।
-
শীত পড়তে শুরু করেছে। শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ এই সময়ে অনেকটা কমে যায়। ফলে বাড়ে ধুলোর পরিমাণ। সেগুলোই ফুসফুসে ঢুকে শ্বাসের সমস্যা বাড়ায়। আর সবচেয়ে বড় কারণ হলো, শীতকালে বায়ুদূষণের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলে সমস্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত
-
অনেকেরই সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় দম বন্ধ হয়ে আসে। নিয়মিত এই সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময়ে শ্বাসকষ্ট হলেই দাঁড়িয়ে পড়ুন। পাশের কোনো দেওয়ালে ভর দিয়ে দাঁড়ান। দেওয়ালের সঙ্গে যেন আপনার মাথার এবং শরীরের পিছন দিক ঠেকে থাকে। এ বার মাথাটা আস্তে আস্তে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে লম্বা শ্বাস নিন। আর মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়–ন। এক মিনিট করলে উপকার পাবেন। ছবি: সংগৃহীত
-
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্বাসকষ্ট এটি কোনো রোগ নয়। এটি অন্যান্য রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়। নাক বন্ধভাব, সর্দি, চোখে চুলকানি ও চোখ থেকে পানি পড়া, বুকে চাপ চাপ বোধ, কাশি, হাঁচি, দ্রæত শ্বাস-প্রশ্বাস ইত্যাদি উপসর্গ শ্বাসকষ্টের উপসর্গ হিসেবে বলা হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
শ্বাসকষ্ট বাড়ার পিছনে কিছু কারণ রয়েছে, এমনিতে নভেম্বর মাসে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ এই সময়ে অনেকটা কমে যায়। এর ফলে ধুলোর পরিমাণ বেড়ে যায়। আর সেগুলো ফুসফুসে ঢুকে শ্বাসের সমস্যা বাড়তে থাকে। ছবি: সংগৃহীত
-
শীতের সময় পানি কম খাওয়া হয় তাই ব্রঙ্কিয়াল নিঃসরণ কমে যায়। শ্বাসতন্ত্রে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রকমের রোগের সৃষ্টি হয়। আবার যাদের আগে থেকেই শ্বাককষ্টের সমস্যা আছে তাদের ঠিক একই কারণে রোগের প্রকোপ বাড়ে। দেখা যায়, এমনিতে যারা সারাবছর শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগে না, তাদেরও কাউকে কাউকে শীতকাল ও শুষ্ক মৌসুমে ইনহেলার নিতে হয়। ছবি: সংগৃহীত
-
শ্বাসকষ্ট যদি দীর্ঘদিন ধরে হতে থাকে, তা সাধারণত ব্রঙ্কাইটিস, টিবি বা যক্ষ্মা, অ্যাজমা, অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতার কারণে হয়। তাই দীর্ঘদিনের শ্বাসকষ্ট যদি থাকে, তা যদি অল্প পরিমাণেও হয়, তবু ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। ছবি: সংগৃহীত
-
শ্বাসকষ্টের সঙ্গে যদি জ্বর থাকে, বুকে ব্যথা হয়, শ্বাস নিতে শোঁ শোঁ শব্দ হয়, তা সাধারণত ফুসফুসের মারাত্মক জটিলতা, যেমন-নিউমোনিয়ার জন্য হয়। এ ধরনের লক্ষণ প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো উচিত। শীতকালে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার মাখলে ত্বকের শুষ্কতা কমবে। ফলে ধুলোর পরিমাণও কিছুটা কমবে। শ্বাসকষ্টও বাড়বে না। ছবি: সংগৃহীত
-
এই সময় অবশ্যই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তারা যদি শীতে ধূমপান করেন, তাদের ফুসফুসের উপর চাপ পড়ে। তাই ধূমপানের অভ্যাস এই সময়ে ছাড়তে হবেই। ছবি: সংগৃহীত