শীতে শরীরে পানির ঘাটতি হলে যেসব সমস্যা দেখা দেয়
শীত এলে আমাদের পানির পিপাসা কমে যায়। তাই পানি কম পান করা হয়। কিন্তু এতে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এবার জেনে নিন শীতে শরীরে পানির ঘাটতি হলে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে।
-
শীতকালে পানির পিপাসা হলেও অনেকেই বুঝতে পারেন না। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৪ লিটার পানি খাওয়া প্রয়োজন। শীতকালে এমনিই তাপমাত্রা থাকে বেশ কম। এমনিও শরীর শুষ্ক থাকে। ছবি: সংগৃহীত
-
কোষ্ঠকাঠিন্য: শীতে এই সমস্যা হলে প্রথমেই বেশি করে পানি পানের অভ্যাস করুন। কোলন পানি শোষণ করে এবং তা শরীরের কঠিন বর্জ্য জমা রাখার প্রধান স্থান। তাই আপনি পানি কম পান করলেই তা মল থেকেও শোষণ করে নেবে। ফলে মল হয়ে পড়বে কঠিন, তা শরীর থেকে বেরনোর সময়েও সমস্যা হবে। পানি খান বেশি করে, তাতে হজম ভালো হবে, মল নরম থাকবে। ছবি: সংগৃহীত
-
খিদে চলে যাওয়া: সকালে খাওয়ার পর রাতে খুদা পায় না কারো কারো। মনে হচ্ছে সব গলার কাছে জমে রয়েছে। এর অর্থ কিন্তু আপনার অ্যাসিডির সমস্যা হয়েছে সেই সঙ্গে শরীরও শুষ্ক হয়ে গিয়েছে। এরকম হলে বারবার হালকা গরম পানি খান। প্রয়োজনে ওষুধও খেতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
-
মাথা ধরা ও ক্লান্তিভাব: শীতকালে আমরা সবাই প্রায়শই বলি মাথা ধরে আছে। সেই সঙ্গে শরীরও বেশ ক্লান্ত। অনেকেই তখন ভাবেন এসব বোধহয় ঠান্ডায় ঘোরাঘুরি করার ফল। কিন্তু এগুলো হচ্ছে শরীরে পানির ঘাটতি হচ্ছে তার প্রথম লক্ষণ। এর সঙ্গে চোখ ব্যথা, শরীরে অস্বস্তি এসব থাকেই। আবার মর্নিং ওয়াকে গিয়ে অনেকে দেখেন যে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। এই সব লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন। অর্থাৎ আপনার শরীরে পানির ঘাটতি হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
-
মূত্রে সমস্যা: শরীরে যদি পানির ভাগ কমে যায় তাহলে মূত্রত্যাগেও সমস্যা হবে। ওই সময়ে জ্বালাভাব, কোমরে ব্যথা অস্বস্তি এসব থাকেই। এছাড়াও মূত্রস্থান শুকিয়ে যায়। ফলে সারাক্ষণ একটা চুলকুনির ভাব থেকেই যায়। এখান থেকেই হয় নানা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। তাই এরকম হলে যেমন পানি বেশি খাবেন তেমনই ভিটামিন সি বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। ছবি: সংগৃহীত
-
ত্বক শুকিয়ে যাওয়া: শীতকালে ত্বক এমনিই শুকনো থাকে। কিন্তু সারাদিনে নিয়ম করে তেল, সাবান, ক্রিম লাগানোর পরও যদি ত্বকে উজ্জ্বলতা না ফেরে তাহলে কিন্তু বুঝতে হবে সমস্যা অন্দরে। সেই সঙ্গে চামড়া ওঠা, চুল পড়ে যাওয়া, ঠোঁট ফাটা এসব থাকেই। শরীর যে পানিশূন্য হয়ে যাচ্ছে এর বিশেষ প্রভাব পড়ে হাতে আর পায়ে। ছবি: সংগৃহীত
-
মুখে দুর্গন্ধ: সকালে ঘুম থেকে উঠলেই মুখে দুর্গন্ধ হয় কারো কারো। স্যালাইভা তৈরিতে ও মুখের মধ্যে জমে ওঠা ব্যাকটেরিয়া তাড়াতে পানির খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। পানি কম খেলে কম লালা তৈরি হবে, মুখের মধ্যে জন্মানো ব্যাকটেরিয়া জমে উঠবে জিভে, দাঁতে, মাড়িতে। ফলে দুর্গন্ধ ছড়াবে। তাই এই সমস্যা এড়াতে দিনে অন্তত ৫ লিটার পানি খান। ছবি: সংগৃহীত
-
পেটখারাপ: শরীরের যাবতীয় টক্সিন কিন্তু বের করে দেয় পানি। পানি না খেলে বিষাক্ত পদার্থ শরীরেই জমা থাকে। ব্রণর সমস্যা বাড়ে। সেই সঙ্গে খাবার হজম না হওয়া, গ্যাস এসব হয়। পেটখারাপ লেগেই থাকে। ছবি: সংগৃহীত