ত্বকের যত্নে বডি ওয়াশ নাকি সাবান ব্যবহার করবেন?

বাজারে আজকাল প্রচুর বডি ওয়াশ পাওয়া যায়। অনেক ধরনের সাবান আছে বহু আগে থেকেই। দীর্ঘদিন থেকে মানুষ ভরসা রাখছে সাবানের উপর। ছবি: সংগৃহীত

অনেকেরই ধারণা রয়েছে যে, সাবানের তুলনায় বডি ওয়াশের দাম বেশি। যদিও প্রথমে এটাই মনে হওয়ার কথা। আসলে সাবানের থেকে বডি ওয়াশ অনেক বেশি দিন চলে। ছবি: সংগৃহীত

বডি ওয়াশের বিষয়ে একটি প্রচলিত ভুল ধারণা রয়েছে। সেটা হলো গোসলের সময় বডি ওয়াশ পানি দিয়ে ধুতে সাবানের তুলনায় বেশি সময় লাগে। তাই অনেকেই অফিসে বা বাইরে বেরোতে দেরি হওয়ার ভয়ে বডি ওয়াশ এড়িয়েই চলেন। এটা কিন্তু একেবারেই ভুল। কারণ বডি ওয়াশ পানি দিয়ে সহজেই ধুয়ে ফেলা যায়। আর আমাদের ত্বককে এটা হাইড্রেট করে। সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সাহায্য করে বডি ওয়াশ। ছবি: সংগৃহীত

গোসলের সময় সাবান মাখলে অথবা বডি ওয়াশ লাগালে ফেনা হয়, তার ফলে খুবই রিফ্রেশিং লাগে। বডি ওয়াশ ত্বককে শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং প্রয়োজনীয় ময়েশ্চারের জোগান দেয়। হাতে অল্প পরিমাণে বডি ওয়াশ নিলেই প্রচুর ফেনা হয়। যার ফলে গোসলের পর নিজেকে বেশ সতেজ লাগে। যদিও যাদের সেনসিটিভ ত্বক, তাদের বডি ওয়াশ ব্যবহার না করাই ভাল। ছবি: সংগৃহীত

গোসলের জায়গায় সাবান একটি নির্দিষ্ট পাত্রে রাখতে হয়। আর অন্যের ব্যবহার করা সাবান ব্যবহার করা একেবারেই ঠিক নয়। সেখানে বডি ওয়াশ এমনিতেই বোতলে পাওয়া যায়। অন্যদিকে একসঙ্গে অনেকে ব্যবহারও করা যায়। আর হাইজিন নিয়ে তো ভাবতেই হয় না। আবার বেড়াতে যাওয়ার সময় বডি ওয়াশের বোতল নিয়ে গেলেই হয়। কারণ আলাদা করে সাবান নেওয়াটা খুবই ঝামেলার বিষয়। ছবি: সংগৃহীত

অনেকেরই ধারণা, একমাত্র শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে গোসল করলে তবেই বডি ওয়াশ ব্যবহার করা যায়। মগ-বালতি দিয়ে গোসলের ক্ষেত্রে বডি ওয়াশ ভালো কাজ দেয় না। একেবারেই ভুল ধারণা। আসলে আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষই মগ-বালতিতেই গোসল করতে স্বচ্ছন্দ। তাই যে গোসলের ক্ষেত্রে বডি ওয়াশ দারুণ কার্যকর। অনেকেই সারা দিনের কাজকর্মের পরে বাড়ি ফিরে গোসল না করে শরীর মুছে নেন। কারণ দিনের শেষের ক্লান্তি ধুয়ে একটা আলাদাই সতেজতা এনে দিতে পারে এটি। ছবি: সংগৃহীত