রাতে খারাপ স্বপ্ন দেখা দূর করবেন যেভাবে
অনেকেই রাতে ঘুমালে খারাপ কিংবা দুঃস্বপ্ন দেখেন। এতে ঘুম ভেঙে যায়। রাতে আর ঘুম আসে না। তারা জেনে নিন রাতে খারাপ স্বপ্ন দেখা দূর করবেন যেভাবে।
-
ডিজঅর্ডার: উৎকণ্ঠা, অবসাদ, ¯িøপ প্যারালিসিস, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার, ¯িøপ অ্যাপনিয়ার মতো ডিজঅর্ডারে ভুগলে আমরা দুঃস্বপ্ন দেখি। যদি আপনি দীর্ঘদিন এই ধরনের সমস্যায় ভুগতে থাকেন এবং নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক আধুনিক থেরাপির সাহায্যে এই সমস্যা সারিয়ে তোলা যায়। ছবি: সংগৃহীত
-
ডিনার: ছোটবেলায় বাবা, মায়েরা আমাদের তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নেয়ার অভ্যাস করাতেন। বড় হয়ে সেই অভ্যাস আমরা অনেকেই মেনে চলি না। যখনই আমরা খাবার খাই তখনই আমাদের ডায়জেসটিভ সিস্টেম সক্রিয় হয়ে ওঠে। মেটাবলিজম রেট বেড়ে যায়। ঘুমনোর ঠিক আগে খাবার খেলে শরীর ও মস্তিষ্ক সজাগ হয়ে ওঠে। ফলে টানা ঘুমে সমস্যা হয় যা অনেক সময় দুঃস্বপ্নের কারণ হয়ে ওঠে। ছবি: সংগৃহীত
-
স্ট্রেস: সারাদিনের স্ট্রেস, ক্লান্তি যদি খুব বেড়ে যায় তাহলে ঘুমের সমস্যা হয়। স্ট্রেসের কারণে দুঃস্বপ্ন দেখা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। স্ট্রেস কাটাতে ঘুমনোর আগে হালকা যোগাভ্যাস করলে বা হালকা গরম পানিতে গোসল করলে সমস্যা দূর হবে। ছবি: সংগৃহীত
-
ওষুধ: অনেক ওষুধ রয়েছে যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমনটা হতে পারে। সাধারণত উচ্চ-রক্তচাপ বা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ থেকে শরীরে মেটাবলিজমের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ঘুমের সমস্যা হওয়ার প্রবণতা থাকে। যদি এমনটা হয়ে থাকে আপনার ক্ষেত্রে তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ বদলান বা ডোজ কমিয়ে দিতে বলতে পারেন। ধীরে ধীরে শরীর ধাতস্থ হয়ে গেলে সমস্যাও কেটে যাবে। ছবি: সংগৃহীত
-
ঘুমের মান: ভালো ঘুম হলে কখনই দুঃস্বপ্ন দেখবেন না। বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে দুঃস্বপ্ন দেখতে পারেন। এক্ষেত্রে জোর দিতে হবে ঘুমের মান বাড়ানোর দিকে। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমোন। আরামদায়ক বিছানা, অন্ধকার ঘরে ঘুমনো অভ্যাস করুন। ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, নিকোটিনের অভ্যাস থাকলে বাদ দিন। সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ দিন এক্সারসাইজ করতে পারলে ভালো। ছবি: সংগৃহীত
-
ইমেজারি রিহার্সাল ট্রিটমেন্ট: দুঃস্বপ্ন দূর করতে খুবই কার্যকর আইআরটি। অনেক থেরাপিস্ট এই পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে যে দুঃস্বপ্ন বারবার দেখছেন তার শেষ বদলে দিয়ে ভালো কিছু কল্পনা করতে বলা হয়। তারপর নতুন সেই স্বপ্ন কাগজে লিখে রাখতে বলা হয়। নিয়মিত কী স্বপ্ন দেখছেন, কীভাবে কমছে দুঃস্বপ্নের প্রকোপ তা মনিটরও করা হয়। কোনো থেরাপিস্টের সাহায্যে বা নিজেও এই পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত