নারীদের যে ৫টি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকের শরীরে সূক্ষ্ম পরিবর্তন হয়। নারীদের ক্ষেত্রে পেরিমেনোপজ পর্বের সূচনা তাদের আরও রোগের ঝুঁকিতে ফেলে দেয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। জেনে নিন নারীদের যে ৫টি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি।
-
রক্তচাপ স্ক্রিনিং : মাঝবয়সী মহিলাদের প্রায়শই রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধির মুখোমুখি হতে হয়, তা যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সামান্য ডায়েট এবং লাইফস্টাইলের মাধ্যমেই রক্তচাপ কমানো সহজ। কেবলমাত্র ওষুধ নয় নিয়মিত যোগব্যায়াম ও খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমেই হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
-
ব্রেস্ট ক্যান্সার: সব বয়সের মহিলাদের জন্য নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। স্তন এবং জরায়ুর ক্যান্সার হলো দুটি সাধারণ ক্যান্সার যা সকল বয়সের মহিলাদেরকে প্রভাবিত করে এবং বয়সের সঙ্গে ঝুঁকি বাড়ায়। স্তন পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও গলদ বা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে। বছরে একবার দুটি সাধারণ ধরণের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য একটি স্মিয়ার এবং ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা করানোর উপদেশ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
-
অস্টিওপোরোসিস: বয়সের সঙ্গে হাড়ের ঘনত্ব এবং শক্তি হ্রাস করা সাধারণ, যা হাড় বা অস্টিওপোরোসিস হ্রাস করতে পারে। হাড়গুলো আরও দুর্বল এবং ভেঙে যায়, যা আঘাত বা ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়ায়। অস্টিওপোরোসিস পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এডিইএক্স স্ক্যান মহিলাদের হাড়ের ঘনত্ব শনাক্ত করতে সহায়তা করতে পারে এমনটাই মতামত চিকিৎসকেরা।
-
ব্লাড সুগার: খাওয়ার অভ্যাস সম্পর্কে সতর্ক না হলে ৪০ বছরের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ভুল খাবার খাওয়া এবং ওজন বাড়ানো অগ্ন্যাশয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এটি সহজেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। রক্তের শর্করার মাত্রা রোজার জন্য নিজেকে পরীক্ষা করা ডায়াবেটিসকে তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে এমনটাই পরামর্শ চিকিৎসকদের।
-
কোলস্টোরেল প্রোফাইল: রক্ত পরীক্ষা করা গুরুতর হৃদরোগ এবং স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হার্ট-সম্পর্কিত অসুস্থতাগুলির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। যদি উচ্চ কোলেস্টেরল থাকে তবে ডায়েট পরিবর্তন করা এবং কিছু ওষুধ সেবন কোলস্টোরেলকে হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে। ৩০ এর পরে প্রত্যেকের প্রতি পাঁচ বছর পর মহিলাদের কোলেস্টেরল স্তর চেক করান উচিত বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।