যেসব সমস্যায় নিম পাতা দারুণ কাজ করে
প্রাচীনকাল থেকে নিমপাতা ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর রয়েছে অনেক গুণ। বেশ কয়েকটি সমস্যায় নিমপাতা ম্যাজিকের মত কাজ করে।
-
নিমপাতা প্রতিদিন খেতে পারলে অনেক জটিল কঠিন রোগ থেকে দূরে থাকবেন। সব থেকে ভালো কাজে দেয় যদি সকালে খালি পেটে কয়েকটা পাতা নিয়ে, ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে খেয়ে নেয়া যায়। এছাড়া গরম আঁচে তেল ছাড়া সেঁকে নিয়ে ভাতের সঙ্গেও খেতে পারেন। নিম গাছের ডাল, পাতা-সবই কাজে লাগে। যেমন, নিমের কাঠ খুব শক্ত। নিম কাঠে উইপোকা বাসা বাঁধে না। ফলে কখনও ঘুণ ধরে না। ছবি: সংগৃহীত
-
নিম তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী। নিমপাতা ব্যাকটিরিয়া ও ফাঙ্গাস বিরোধী, নিয়মিত ত্বকে নিমপাতা বাটা লাগালে ত্বকে কোনোরকম ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হয় না। ব্রণর সমস্যাও দূর করে নিমপাতা। পাশাপাশি, ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ ভাল করে বেটে মাখুন। ছবি: সংগৃহীত
-
দাঁত ও মাড়ির যে কোনো রকম সংক্রমণ দূরে রাখে নিম পাতা। যে কারণে নিমের মাজন ব্যবহার করা হত আগে। নিমের রস দাঁতের জন্য ভালো। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে আর দাঁতের ফাঁকে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতে নিম কার্যকরী। ছবি: সংগৃহীত
-
চুল পড়া, খুসকির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শ্যাম্পুর পর নিমপাতা দেয়া পানি দিয়ে চুল ও ক্ল্যাল্প ধুয়ে নিন। স্ক্যাল্পের চুলকানির সমস্যায় নিমপাতার রস খুবই উপকারী। তাছাড়া নিমপাতার রসে চুলের গোড়া শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা বা রুক্ষ ভাব কমে যায় এবং নতুন চুল গজাতে শুরু করে। ছবি: সংগৃহীত
-
নিয়মিত নিমপাতা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ লিভারের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। গ্যাস বা বদহজমের দীর্ঘদিনের সমস্যায় নিম খুব ভালো কাজ দেয় নিম। পাশাপাশি, রক্ত পরিশুদ্ধ করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত, ক্ষতিকর উপাদান বের করে শরীর সুস্থ সতেজ ও রোগমুক্ত রাখে। ছবি: সংগৃহীত
-
কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে ক্ষত স্থানে নিম পাতার রস ভেষজ ওষুধের মতো কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত
-
শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়তেও এই পাতার কোনও তুলনা হয় না। গায়ের দুর্গন্ধ বা ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে নিমপাতার রস খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। ছবি: সংগৃহীত