শীতে সুস্থ থাকতে যেসব ভেষজ খাবার খাবেন

শীত মানেই আবহাওয়ার পরিবর্তন। সঙ্গে নানা রোগ ও শারীরিক সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে শরীর চাঙ্গা রাখার পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও মজবুত করতে হবে। এক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী হলুদ, ধনেপাতা, আদা থেকে শুরু করে একাধিক ভেষজ উদ্ভিদ। ছবি: সংগৃহীত

হলুদ: প্রাচীনকাল থেকে এমনকী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রেও হলুদের উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের একাধিক সমস্যা দূর করতে পারে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার পাশাপাশি হজম, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, রক্ত পরিস্রুতকরণসহ নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় হলুদ। হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে পারে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় মানসিক অবসাদও দূর করতে পারে হলুদ। ছবি: সংগৃহীত

আদা: স্যুপ, তরকারি, চা থেকে শুরু করে নানা ধরনের খাবার ও জুসে আদা দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় ঠান্ডা লাগা, নানা ধরনের ভাইরাল জ্বর, পেশিতে ব্যথাসহ নানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীর সতেজ রাখে। ছবি: সংগৃহীত

মেথি: প্রাচীনকাল থেকে মেথির ব্যবহার রয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রেও মেথির উল্লেখ রয়েছে। অনেকেই মেথি ভেজানো পানি পান করেন। তবে মেথির পানি ছাড়া অঙ্কুরিত মেথি খাওয়া যেতে পারে। কোনো তরকারি বা কারিতেও মেথি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মেথি। শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও ঠিক রাখে। ছবি: সংগৃহীত

পুদিনা: একাধিক উপকারিতা রয়েছে এই ভেষজ উদ্ভিদের। শরীর ভালো রাখতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে মিন্ট বা পুদিনার রস খাওয়া যেতে পারে। পুদিনার পাতা ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের স্যালাদ, জুস বা চাটনিতে ব্যবহার করা যেতে পারে পুদিনা। কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, মুখের দুর্গন্ধ, ঠান্ডা লাগা, অবসাদসহ একাধিক সমস্যায় কাজে দেয় পুদিনা। ছবি: সংগৃহীত

ধনেপাতা: রান্নাঘরের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য উপাদান এই ভেষজ উদ্ভিদ। ধনেপাতার মধ্যে ভিটামিন এ, কে, সি ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও একাধিক খনিজ লবণ থাকে। তাই পার্সলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করার পাশাপাশি একাধিক ক্রনিক ডিজিজ দূর করতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও মোক্ষম দাওয়াই এটি। ছবি: সংগৃহীত