বারবার মশায় কামড়ালে কী হয়?
বারবার মশায় কামড়ালে ম্যালেরিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে অনেক বেশি। এক সমীক্ষা থেকে জানাগেছে স্বাভাবিক পরিবেশে মশা কোনো ব্যক্তিকে একাধিকবার কামড়াতে পারে।
-
সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে যে বারবার মশায় কামড়ালে ম্যালেরিয়ার পরজীবীর ইনকিউবেশন অবস্থা স্থায়ী হয় না এবং এতে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে পিএলওএস প্যাথোজেন নামক একটি জার্নালে। এই গবেষণায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে এর আগে ম্যালেরিয়া নিয়ে যা যা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে, তার সবটাই করা হয়েছে মশার একবার কামড়ের উপর ভিত্তি করে। ছবি: সংগৃহীত
-
ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে ম্যালেরিয়া একটি বড় অসুখ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। মেয়ে মশা বা অ্যানোফিলিস গ্যাম্বাই তার সম্পূর্ণ জীবদ্দশায় স্বাভাবিক পরিবেশে একাধিকবার কামড়াতে পারে। এই মশা যখন ম্যালেরিয়ার পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হয়, তখন তাদের কী পরিবর্তন হতে পারে সেই নিয়ে এখনো সঠিক গবেষণা হয়নি। ছবি: সংগৃহীত
-
আর সে জন্যই এই নতুন গবেষণা এক অন্য দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে করা হয়েছে। গবেষকরা বোঝার চেষ্টা করেছেন কিছু নতুন তথ্য। ম্যালেরিয়ার পরজীবীর বৈজ্ঞানিক নাম হল প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপ্যারাম (Plasmodium Falciparum)। যখন মেয়ে মশা বারবার রক্ত খাচ্ছে তখন তার শরীরে কীভাবে এই পরজীবী বেড়ে উঠছে এবং তার জন্য কীভাবে ম্যালেরিয়া সংক্রমণের তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে- সেসব বিষয় মাথায় রেখে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। ছবি: সংগৃহীত
-
আমেরিকার পাবলিক হেলথ বিভাগের হার্ভার্ড টি এইচ চান স্কুলের ডাব্লিউ রবার্ট শ বলেছেন যে স্থানীয় অঞ্চলে যেসব মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায়, সেই মশারা প্রতি দুই থেকে তিন দিন অন্তর রক্ত খেতে থাকে। এই কথা মাথায় রেখেই মূলত গবেষণা এগিয়েছে। বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে যে মশার এই স্বাভাবিক ব্যবহার কীভাবে ম্যালেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা এক অনভিপ্রেত পদ্ধতিতে বাড়িয়ে দিচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
-
গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা একত্রে এক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। বলা হচ্ছে যে প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপ্যারাম দ্বারা আক্রান্ত মেয়ে মশা তিন দিনের মাথায় কামড়ালে বিপদ আছে। কারণ এত কম সময়ে ম্যালেরিয়ার এই পরজীবী ইনকিউবেট করার সময় পায় না। আর এই জন্যই ম্যালেরিয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত