হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
যে কোনো বয়সী মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে যেসব বিষয়ে সতর্ক হতে হবে তা জেনে নিন।
-
আমরা যে কোনো সময় যে কোনো অসুখে আক্রান্ত। তবে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকলে বোঝা যায় কারো কোনো নির্দিষ্টি অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না। বিশেষ করে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। কিন্তু কয়েকটি বিষয় বা লক্ষণ বলে দিতে পারে যে আপনার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কতটা।
-
ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের মতে পরিবারে বা বংশে কোনো পুরুষ সদস্য যেমন বাবা বা দাদা ৫৫ বছরের এবং মা বা দিদি যদি ৬৫ বছরের আগে হৃদোরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পরিবারে বাবা ও মা দুজনেই যদি ৫৫ বছর বয়সের আগে হৃদযন্ত্রের অসুখে ভোগেন তাহলে আপনার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে ৫০ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ পরিবারের হৃদযন্ত্রের অসুখের রেকর্ডের উপরে অনেকটাই নির্ভর করে যে আপনি হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন কি না।
-
কার্ডিওমায়োপ্যাথি থাকলে হৃদযন্ত্রের আকারের উপরেও প্রভাব পড়ে এবং তার বøাড পাম্পের ক্ষমতার উপরেও প্রভাব পড়ে। এছাড়াও হৃদস্পন্দে অসমতার মতো হৃদযন্ত্রের সমস্যা পরিবারের কারো হয়ে থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। করোনারি আর্টারি ডিজিজ পরিবারের কারো থাকলে আপনিও সেই জিন বহন করতে পারেন যার ফলে খারাপ কোলেস্টরেল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আগে থেকে সম্ভাবনার কথা যেমন আন্দাজ করা যায়, তেমনই আগে থেকে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখারও কিছু উপায় রয়েছে।
-
পরিবারে হার্টের অসুখের কী রেকর্ড রয়েছে সেটা জেনে নেয়া দরকার। আগে থেকে সাবধান হলেই সচেতনতা আসে দ্রুত। পরিবারে হার্টের অসুখের কী রেকর্ড রয়েছে সেটা জেনে নেয়া দরকার। আগে থেকে সাবধান হলেই সচেতনতা আসে দ্রুত।
-
নিয়মিত রক্তচাপ, লিপিড প্রোফাইল, বøাড সুগার, পরীক্ষা করান। কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার বয়স ক্রমশ কমে আসছে।
-
স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া করার বিকল্প কিছুই হতে পারে না। প্রসেসড ফুড, অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার ইত্যাদি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
-
ধূমপান হার্টের অসুখের সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই ধূমপান বন্ধ করুন।
-
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এতে হার্টের অসুখের সম্ভাবনা কমে।