রান্নায় চিনি খেলে যেসব মারাত্মক রোগ হয়
রান্নায় চিনি ব্যবহারে শুধু ওজন বৃদ্ধি বা ডায়াবেটিস নয় আরও নানান মারাত্মক রোগ হয়। জেনে নিন এ সম্পর্কে।
-
চিনির উপকারিতা যত, ক্ষতি তার চেয়ে অনেক বেশি। যদি একান্তই প্রয়োজন হয়, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ৩-৫ চামচ চিনি খেতে পারেন। তার বেশি কখনোই নয়।
-
চিনির গ্লুকোজ শরীর শোষণ করে নেয়। কিন্তু পরিষোধিত চিনিতে ফ্রুকটোজ বেশি থাকে। ফ্রুকটোজকে একমাত্র পরিশোধন করতে পারে লিভার। লিভারে গিয়ে এই ফ্রুকটোজ চর্বিতে পরিণত হয়। ফলে লিভার ক্ষতিগ্রস হয়। এছাড়াও, বেশি চিনি খেলে লিভার অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হয়।
-
ওজন ও ডায়াবিটিস বাড়াতে চিনির জুড়ি মেলা ভার! শরীরে খুদার মাত্রা নির্ণয় করে লেপটিন। কিন্তু অতিরিক্ত চিনি লেপটিন প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি করে। পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরও খুদা থেকে যায়। ফলে, স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি খাওয়ার প্রবণতা তেরি হয়। ফলে দ্রুত বাড়তে থাকে ওজন। স্থূলতা ও ডায়াবিটিসের কারণে মস্তিষ্কের বিভ্রাট হওয়ারও ঝুঁকি থাকে।
-
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি পরিমাণ চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া কিডনির জন্য একেবারেই ভালো নয়। কিডনিতে পাথরও তৈরি হতে পারে।
-
অতিরিক্ত চিনি খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।
-
দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায়। চিনি ক্ষয়কারী ব্যাকটেরিয়াকে সজীব রাখে।
-
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাত্রাতিরিক্ত চিনি খেলে প্যাংক্রিয়েটিক ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসার, ক্ষুদ্রান্তের ক্যানসার, গলা, ফুসফুস, রেকটাম ও স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
-
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। কমে যায় ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা। হ্রদরোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
-
দেহের বিভিন্ন হাড়ের সংযোগস্থলে, বিশেষ করে পায়ের হাড়ের ব্যথার অন্যতম কারণ চিনি।
-
শরীরে পুষ্টির ভারসাম্য নষ্ট হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও খনিজ পদার্থের কার্যকারিতা কমে যায়।
-
গবেষণা বলছে, বেশি চিনি বাচ্চাদের কাজ করার আগ্রহ নষ্ট করে দিতে পারে। শিশুদের মধ্যে দুশ্চিন্তা, মনোযোগের অভাব, উত্তেজনা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চিনি বাচ্চাদের শরীরে অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। শিশুদের এগজিমা হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
-
বেশি চিনি খেলে নারী ও পুরুষ, উভয়েরই যৌন জীবনে ক্ষতি হয়। দেখা দেয় ডিপ্রেশন।
-
মাত্রা অতিরিক্ত চিনি খাওয়া রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়। বাড়িয়ে দেয় সি- পেপটাইডের ঘনত্বও।