শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি আছে বুঝবেন যেভাবে
সুস্থ্য শরীরের জন্য প্রোটিন খুবই দরকারী। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এবার জেনে নিন যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি আছে।
-
কোষ গঠনে, পেশি গঠনে বা শরীরের একাধিক প্রয়োজনে প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকেরা তাই বলে থাকেন, ছোট থেকে যেন বাচ্চাদের প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ানো হয়। ভেজিটেরিয়ান হোক বা নন ভেজিটেরিয়ান, প্রত্যেকের খাওয়া-দাওয়াতেই এমন কিছু খাবার থাকে যা প্রাকৃতিকভাবে প্রোটিনের সঞ্চার করে শরীরে। ডিম, মাংস, বাদাম, বিভিন্ন শস্যদানা বা সোয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।
-
নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন প্রয়োজন শরীরের। অনেকেই খাবারের পুষ্টিগুণ না জেনে, সাধারণ খাবারই ডায়েটে রাখেন। কিন্তু এক্ষেত্রে যদি সেই ডায়েটে প্রোটিনের অভাব থাকে, তা হলে কিন্তু তা শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে। প্রোটিনের অভাবের জন্য একাধিক শারীরিক অসুস্থতা তৈরি হতে পারে। Scientific Reports-এ প্রকাশিত ২০১৬ সালের একটি সমীক্ষা বলছে, মেটাবলিজম, এনার্জি ও খাওয়া-দাওয়ায় প্রভাব ফেলে প্রোটিন।
-
কীভাবে বোঝা যাবে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে? যদি খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকে, তা হলে কোনো সমস্যা নেই। যদি তা না থাকে, তা হলে কিন্তু শরীরে উপসর্গ দেখা দিতে পারে। দেখে নেয়া যাক কী কী উপসর্গ দেখলে বোঝা যাবে শরীরে প্রয়োজনীয় মাত্রায় প্রোটিন নেই!
-
শরীর দুর্বল লাগা, ক্লান্ত লাগা: প্রোটিন শরীরে এনার্জি দেয়। তাতে কাজ করতে ইচ্ছে করে। অ্যাক্টিভ থাকা যায়। যদি শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকে তা হলে সারাদিন ক্লান্ত লাগতে পারে। ঘুম-ঘুম ভাব থাকতে পারে। সাধারণত যেমন ক্লান্ত লাগে, তার থেকে বেশিই ক্লান্তি আসতে পারে।
-
পেশিতে জোর না পাওয়া: পেশি গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে প্রোটিন। তাই বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, যারা বডি বিল্ডিং করেন বা মাসল বিল্ডিং করেন, তারা প্রোটিন জুস খেয়ে থাকে। যদি শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকে, তা হলে পেশিতে জোর থাকবে না। কোনও ভারী জিনিস তুলতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
-
খুদা বেড়ে যাওয়া: প্রোটিন শরীরের অন্যতম প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস। যদি শরীরে এর ঘাটতি থাকে তা হলে শরীর খুদের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে তা মেটানোর চেষ্টা করে। এবার এই খুদাটা যদি কোনো প্রসেসড ফুড বা জাঙ্ক ফুড দিয়ে মেটানো হয়, তা হলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
-
অল্প বয়সে বার্ধক্য এসে যাওয়া: ২০১৯ সালে Indian Dermatology Online Journal-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রোটিনের ঘাটতি ত্বক, চুল ও নখের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে। যার ফলে ত্বকের বলিরেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বার্ধক্যজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।