শীতে যে কারণে আমলকি খাবেন
শীত চলে এসেছে। আর এই সময়ে নানা ধরনের ভাইরাল ফিবার, হজমের অসুবিধাসহ একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। তাপমাত্রা কমার জেরে বায়ুদূষণের পরিমাণও বাড়তে থাকে। ফলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিসহ ফুসফুসে নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই মৌসুমি ফল খাওয়ার কথা বলেন। এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী একটি ফল আমলকি। এর মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট একাধিক রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। তবে সঠিক নিয়ম মেনে আমলকি না খেলে শরীরের ক্ষতির কারণও হতে পারে।
-
শীতকালে নানা সংক্রমণ, ভাইরাল ফিবারের পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, হার্ট অ্যাটাক, হাই ব্লাড প্রেসারসহ একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য অনেকাংশেই দায়ি থাকে বায়ুদূষণ। বলা বাহুল্য, শীতে আবার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে এমন কিছু ফল ও সবজি খাওয়া উচিত, যাতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে।
-
এতে লিভার ভাল থাকার পাশাপাশি ব্লাড প্রেসারের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় ত্বক, চুল ঠিক তো থাকেই, পাশাপাশি দ্রুত বয়সবৃদ্ধি রোধ থেকে শুরু করে রোগপ্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি ও সেলুলার ড্যামেজও রোধ করতে পারে আমলকি। সর্বোপরি শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখে এই ফল। তাই দূষণ বা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে পারে আমাদের ফুসফুস।
-
জুস বা অন্য কোনোভাবে খাওয়ার থেকে আমলকি চিবিয়ে খাওয়াই ভালো। এই শীতের সময়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় আমলকি। তাই শীতের সময়ে যখন ফলন বেশি হচ্ছে, তখন গোটা ফল খাওয়ার সুযোগ নিতে হবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২টি আমলকি খাওয়া যায়। এতে সব চেয়ে বেশি উপকার হয়। তবে দিনে দু'-একটির বেশি আমলকি খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এর কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
-
আমলকি টক হওয়ায়, অনেকেই এটি কাঁচা খেতে পারেন না। এই টকভাব কমাতে আমলকিকে ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে একটু লবণ, মরিচ মিশিয়ে খাওয়া যায়। অল্প লবণ ও হলুদ দিয়ে আমলকি ফুটিয়ে নেওয়া যায়। এ ছাড়াও আমলকির চাটনি বানালেও মন্দ লাগবে না।
-
তবে কিছু ক্ষেত্রে ফলটিকে এড়িয়ে যাওয়া ভালো। যদি কোনো সার্জারি হয়ে থাকে বা কোনও বøাড থিনিংয়ের ওষুধ খান কেউ, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আমলকি খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। অন্তঃসত্ত্বা বা যারা বাচ্চাকে স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাদেরও আমলকি এড়িয়ে যাওয়া ভালো।