শীতে সহজে শরীরের চর্বি কমাবেন যেভাবে
শীতে শরীরের মেটাবলিজম রেট কমে যায়। ফলে বাসা বাঁধে চর্বি। এই চর্বি কমাতে মেনে চলুন সহজ ৫টি টিপস। এতে শরীর থাকবে চর্বিমুক্ত ও ঝরঝরে।
-
ওজন কমানো খুব একটা সহজ কাজ নয়। তবে শীত পড়লে বা তাপমাত্রা কমলে এই কাজ আরও কঠিন হয়ে যায়। পানির কমতি, শুষ্ক আবহাওয়া, ভিটামিন ডি-র অভাবসহ একাধিক কারণে শরীরের মেটাবলিজম রেট কমে যায়। ফলে শরীর থেকে কয়েক কেজি ওজন কমাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। তাই আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শীতকালে ওজন কমানোর স্ট্র্যাজেজিতেও কয়েকটি পরিবর্তন আনতে হবে।
-
ইনডোর অ্যাক্টিভিটিতে নজর দিতে হবে: শীতের সকালে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকার থেকে প্রিয় আর কিছু হতে পারে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই আলসেমির চক্করে শরীরের যে কী ক্ষতি হচ্ছে, তা বোঝা যায় না। অনেকেই ওয়ার্ক আউটে যেতে চান না। এতে ওজন আরও বাড়তে থাকে। যদি জিমে যেতে বা বাইরে বের হতে মন না চায়, তা হলে ঘরেই শরীরচর্চা করুন। নিজেকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে স্কিপিং, যোগ, মেডিটেশন করা যায়।
-
হালকা গরম পানি পান জরুরি: ওজন কমানোর চক্করে প্রায়শই পর্যাপ্ত জল পান করার বিষয়টি নজর-আন্দাজ হয়ে যায়। শীতকালে এই সমস্যাটা আরও বেড়ে যায়। অনেকেই কম পানি খান। অনেকে প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা পানি পান করুন। এতে ফ্যাট বার্নিং ক্যাপাসিটি কমে যায়। এক্ষেত্রে দারুণ কাজ দিতে পারে হালকা গরম পানি। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শরীরে রক্তসরবরাহের মাত্রাও ঠিক রাখে। গরম পানিতে লেবুর রস, পুদিনা বা আদা দিয়ে খেতে পারেন।
-
কিছুটা সময় বাইরে কাটানো: আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। এতে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যাভাস, এমনকী মুডেও নানা পরিবর্তন আসতে পারে। অনেক সময় মনখারাপ লাগলে কোনো রেস্তোরাঁয় গিয়ে অনেক কিছু ভুলভাল খাওয়া হয়ে যায়। এই ধরনের বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন। শরীর ও মন ভালো রাখার জন্য বাড়ির বাইরে কোথাও গিয়ে ঘুরে আসুন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন। প্রয়োজনে চকোলেট, ওটস, বেরি, কলা বা এই জাতীয় খাবার খাওয়া যায় মন ভালো রাখার জন্য।
-
মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো: শীতে নানা পরব-অনুষ্ঠানে পিঠে-পুলি, পায়েস, হালুয়া তৈরি হয়। কিন্তু এত মিষ্টি থেকে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে ভিটামিন ডি ও সেরেটোনিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তাই মাশরুম, ডিম, বাদামজাতীয় খাবার, স্যামন মাছ খাওয়া জরুরি।
-
বার বার খাওয়া, অল্প খাওয়া: দিনে তিনবেলা অনেকটা খাওয়া কমিয়ে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে অল্প, কিন্তু বার বার খাওয়াটাই ভালো। এতে সব সময়ে পেট ভর্তি থাকবে। হজমের সমস্যাও কমবে। তবে কখনোই না খেয়ে থাকা চলবে না।