যেসব ফল-সবজি নিয়মিত খেলে ধূমপান ছেড়ে দিতে পারবেন
ধূমপানের মারাত্মক আসক্তি থেকে সহজে মুক্তি পেতে অনেকেই নানা উপায় খুঁজছেন। কিছুতেই ছাড়তে পারছে না ধূমপান। তবে এবার জেনে নিন ধূমপান ছাড়ার সহজ উপায়।
-
ধূমপান নিয়ে সারা বিশ্বের চিকিৎসক এবং গবেষক মহলে ভাবনার শেষ নেই। ধূমপানের কুফল সম্পর্কেও চলছে জোরদার প্রচার। ধূমপানবিরোধী সচেতনতার লক্ষ্যে ব্যয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ধূমপানের কুফল বোঝাতে আলোচনা, সেমিনারের অন্ত নেই। তবু খুব বেশি বদলায়নি ছবিটা। ধূমপায়ীদের চৈতন্যে সেভাবে এখনও ছাপ ফেলতে পারেনি প্রচারের ঝড়। আর তাই সাম্প্রতিক সমীক্ষা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। যেখানে বলা হচ্ছে, আগামী ৫০ বছরে ধূমপানঘটিত অসুখ প্রায় মহামারীর আকার নেবে সারা পৃথিবীতে।
-
এই যখন অবস্থা, ঠিক তখনই আতঙ্কের মধ্যেও আশার আলো দেখিয়েছেন একদল গবেষক। বললেন, ধূমপানের ফলে যাঁদের ফুসফুস চরমভাবে ক্ষতিগস্ত, তাঁদের রোগমুক্ত নতুন জীবনের স্বাদ দিতে পারে লাল টকটকে পাকা টমেটো এবং সতেজ আপেল। জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথের গবেষকদের দীর্ঘ গবেষণায় উঠে এসেছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ১০ বছর বা তারও আগে ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন, এমন প্রায় ৫০ জনকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিলেন তারা। দেখা গেছে, নিয়মিত টমেটো এবং আপেল খাওয়ার ফলে তাদের ফুসফুস থেকে ধূমপানের ফলে ক্ষতির ছাপ আশ্চর্যজনকভাবে মুছে গেছে!
-
এ ছাড়াও নিয়মিত প্রচুর ধূমপান করেন, এমন ২০ জন ব্যক্তিকে নিয়মিত আপেল ও টমেটো খাইয়ে দেখা গেছে নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে ধূমপানের ফলে যতটা ফুসফুসের ক্ষতি হওয়ার কথা, তার তুলনায় ক্ষতি হয়েছে নামমাত্র। জনস হপকিন্সের সহকারী অধ্যাপক ও প্রখ্যাত গবেষক ভ্যানেসা গর্সিয়া লারসেনের মতে, এই গবেষণা প্রমাণ করে দিয়েছে, যারা ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন, তারা যদি রোজ নিয়ম করে টমেটো আর আপেল খান, তবে শরীরের বয়স বাড়লেও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকবে না বললেই চলে।
-
উল্টো ফুসফুসের সমস্যা মিটে যেতে পারে। আর যারা ধূমপান করেন, তাদের ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে। এমনকী ফুসফুসের ক্যান্সার থেকেও রেহাই মিলতে পারে। তা ছাড়া, যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তাদের কাছেও এই দুটি ফল মহৌষধ হয়ে উঠতে পারে। আসলে টমেটো এবং আপেলের মধ্যে থাকা অ্যাসিড ফুসফুসের অসুখ সারাতে অব্যর্থ। ২০০২ সালে প্রথমবার ৬৫০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান এবং ফুসফুসের অবস্থা নিয়ে গবেষণা শুরু করে এই গবেষক দলটি। ১০ বছর পরে ফের তাঁদের ওপরই পরীক্ষা চালানো হয় এবং ফুসফুসের অবস্থা বিচার করে নিয়মিত টমেটো, আপেল খাওয়ানো শুরু হয়।
-
সেই গবেষণারই রিপোর্ট হাতে এসেছে সম্প্রতি। তবে শুধু আপেল বা টমেটোই নয়, গবেষকরা বলছেন, যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক যদি প্রতিদিন গড়ে তিনটি করে তাজা ফল খান, তা হলে তাদের ফুসফুস অন্যদের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ ভালো থাকবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সবথেকে ভালো কাজ দেবে টমেটো ও আপেল। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত ফলে এই সুফল মিলবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন গবেষকরা।
-
সেই গবেষণারই রিপোর্ট হাতে এসেছে সম্প্রতি। তবে শুধু আপেল বা টমেটোই নয়, গবেষকরা বলছেন, যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক যদি প্রতিদিন গড়ে তিনটি করে তাজা ফল খান, তা হলে তাদের ফুসফুস অন্যদের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ ভালো থাকবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সবথেকে ভালো কাজ দেবে টমেটো ও আপেল। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত ফলে এই সুফল মিলবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন গবেষকরা।