প্রতিদিন কতটুকু লবণ খাওয়া উচিত
অনেকেই ভাত খাওয়ার সময় আলাদা করে লবণ খান। আবার কেউ কেউ তরকারিতেও বেশি লবণ খান। তবে সুস্থ থাকার জন্য আসলে কী পরিমাণ লবণ খাওয়া দরকার তা জেনে নিন।
-
লবণ শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, শরীরের পক্ষেও অত্যন্ত উপযোগী। লবণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ থাকে যা শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটস হিসেবে কাজ করে। এটি আপনার স্নায়ুতন্ত্র, মাংসপেশীর কাজ ও শরীরে তরলের মাত্রা ঠিক রাখে। কিন্তু লবণ বেশি খেলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, হতে পারে হার্টের রোগও।
-
আবার অসুস্থ হওয়ার ভয়ে লবণ খাওয়া একেবারে কমিয়ে দেবেন না। যতক্ষণ না চিকিৎসক আপনাকে লবণ খাওয়া কমাতে বলছেন, ততক্ষণ কোনো ভয় নেই। তবে অনেকেরই ধারণা, লবণ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। তারা জানেন না, শরীরে লবণ অর্থাৎ সোডিয়াম কমে গেলে নানারকম সমস্যা হতে পারে।
-
ক্ষুদ্রান্ত্র, মাংসপেশীর সমস্যা, পেটের গোলমাল, বমি ও হার্ট ফেলিওরের মত অসুস্থতা অসম্ভব নয়। এমনকী আপনার মস্তিষ্কের কার্যকলাপেও সোডিয়ামের কমে যাওয়া প্রভাব ফেলতে পারে।
-
আবার শরীরে যদি লবণ বেশি যায় তবে অস্টিওপোরোসিস, কিডনির সমস্যা ও রক্তচাপ বাড়তে পারে। আর রক্তচাপ থেকে শুরু হয় হৃদযন্ত্রের সমস্যা। এখন বাজারে নানা ধরনের লবণ পাওয়া যায়, যেমন টেবল সল্ট, কোশের সল্ট, সি সল্ট, পিঙ্ক হিমালয়ান সল্ট ইত্যাদি।
-
রান্নার জন্য মূলত ব্যবহার হয় টেবল সল্ট। এই লবণ আয়োডিন ভরপুর। তবে পুষ্টির কথা ভাবলে সব থেকে ভাল সি সল্ট ও হিমালয়ান সল্ট। তবে তার মানে এই নয়, এই লবণ ইচ্ছেমত খেতে পারেন। যে লবণই খান, সবেতেই সোডিয়াম রয়েছে, তাই সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ে একটু সাবধান হন।
-
রান্না করা খাবারে লবণ ছিটিয়ে খাওয়া অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। আলাদা করে মেশানো ওই লবণ সহজে হজম হয় না, ফলে পেটের সমস্যা হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রাপ্তবয়স্করা প্রতি দিন ৫ গ্রাম পর্যন্ত লবণ খেতে পারেন। ২-১৫ বছরের ছেলেমেয়েদের শরীরে লবণের নুনের মাত্রা তাদের শারীরিক প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। প্রতিদিনের লবণে আয়োডিন থাকা অবশ্যই উচিত, তা মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়।