স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৫ ঔষধি গাছ
মানব সভ্যতার শুরু থেকে গাছপালা, তরুলতা, গুল্ম ব্যবহৃত হয়ে আছে ওষুধ হিসেবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এসব গাছ এখনও বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। চিনে নিন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত এমন ৫টি ঔষধি গাছ।
-
রোজমেরি: এটি বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় সুগন্ধি ও ঔষধি গাছের অন্যতম। অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহৃত হয় রোজমেরি। স্মৃতি উন্নয়নে সহায়ক, সজ্ঞান সতর্ক ভাব রাখতে সহায়ক। রোজমেরি চা চাপ উপশম করে, হ্রাস করে বিষণ্নতা। ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচায়, ব্রণও সারায়। রোজমেরি তেল রক্তসংবহন বাড়ায়, রক্তনালি করে প্রসারিত ও রক্ত করে উষ্ণ, রক্ত সহজে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
-
লেমন বাম: এ গাছে আছে রোজমেরিনিক অ্যাসিড, তাই হয়ে উঠেছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী। এতে আছে উদ্বায়ী তেল ‘মিট্রল’ ও ‘মিট্রনেলাল’। স্নায়ু আরাম করে চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায়। পলিকেনলসমৃদ্ধ, লেমন বামে আছে ঠান্ডা ক্ষততে ভূমিকা। চা হিসেবেও পানীয় অনেকে ব্যবহার করেন।
-
চ্যামোমিলে: এই গাছের শুষ্ক ফুলে আছে টার্পেনডেস ও ফ্লাডোনয়েডস-এগুলো একে দেয় ঔষধি গুণ। এর প্রদাহরোধী গুণাগুণের জন্য চ্যামোমিলে তরলমল হলে বেশ কাজ করে, পাকস্থলীর অম্ল হ্রাস করে। এতে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ‘ফ্ল্যাডোনস’, কমায় রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল। চ্যামোমিলে এসেনশিয়াল তেল ব্যবহৃত হয় অ্যারোমাথেরাপিতে। ম্যাসেজ তেল, লোশন ও ক্রিমে আছে মিশ্রিত, ত্বকের বোনে কাজ করে বলে জানা। স্টিম ও ডেপার থেরাপিতে আছে এর ব্যবহার রয়েছে।
-
সেজ গাছ: এটি হলো খাবারের স্বাদগন্ধ বাড়ানোর জন্য অনুজ্জ্বল ধূসর হরিৎ পাতাবিশিষ্ট উদ্ভিদ। ব্যবহারবিশেষে এর নানা গুণ। ক্রনিক রোগে উপকারী। আছে এর জীবাণুরোধী গুণ। এর পাতা পুড়িয়ে বাতাস বিশুদ্ধ করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
-
পেপারমিন্ট: এটি ত্বকে ব্যবহার হয়, চাতে ব্যবহার হয়, বাষ্পের সঙ্গে নাক দিয়ে টানা হয়। নাক বন্ধ কমে, কফ-কাশ-শ্বাসকষ্টের জন্য উপকারী। এর জীবাণুরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ দেহপ্রতিরোধ মজবুত করে। এতে আছে ভিটামিন এ, সিসহ আরও খনিজ পদার্থ।