প্রাথমিক পর্যায়ে যে ৭ ধরনের ক্যান্সার ধরা পড়ে না
প্রাণঘাতী রোগ ক্যান্সার। নানা কারণে এই রোগ যে কাউকে আক্রমণ করতে পারে। তবে অনেক ক্যান্সারের উপসর্গ টের পাওয়া গেলেও এমন কিছু ক্যান্সার আছে যার উপসর্গ টের পাওয়া যায় না। জেনে নিন এমন ৭ ধরনের ক্যান্সারের কথা।
-
কিডনির ক্যান্সার: উপসর্গগুলো হলো পিঠের নিচের দিকে যন্ত্রণা, সারাক্ষণ ক্লান্তি ভাব, আচমকা ওজন অস্বাভাবিক কমে যাওয়া এবং মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত।
-
প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার: সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সারা দেশে ক্যান্সার আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। কিন্তু ব্রেস্ট ক্যান্সারের তুলনায় এতেই বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার শনাক্ত করা বেশ কঠিন। কারণ, অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও সাধারণ জন্ডিসের মতোই উপসর্গ দেখা দিতে পারে। প্রাথমিকভাবে তেমন ব্যথা হয় না, তেমন কোনো উপসর্গও প্রকাশ পায় না।
-
লিভার ক্যান্সার: একেবারে শেষের দিকে উপসর্গ বোঝা যায় বলে লিভার বা যকৃতের ক্যান্সার শনাক্ত করা কঠিন। লিভারের বেশিরভাগ অংশই পাঁজরের নিচে ঢাকা থাকে। যাদের মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে বা লিভার সিরোসিস রয়েছে, তাদের লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।
-
লাং ক্যান্সার: বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লাং বা ফুসফুসের ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার পড়েই ধরা পড়ে। তেমন কোনো বিশেষ উপসর্গও থাকে না। শুধু তাই নয়, চেস্ট এক্সরেতেও ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ে না। পিইটি বা সিটি স্ক্যানে একমাত্র ধরা পড়তে পারে।
-
ওভারিয়ান ক্যান্সার: মহিলারা যত রকমের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ ওভারিয়ান ক্যান্সার বা জরায়ুর ক্যান্সার। কিন্তু মাত্র ২০ শতাংশ ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা যায়। কারণ, প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। সাধারণত, তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ের পর ওভারিয়ান ক্যান্সার ধরা পড়ে।
-
ব্রেন টিউমার: মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ডের টিউমার শনাক্ত করা যায় তখনই যখন তার উপসর্গগুলো প্রকাশ পায়। যেমন, হাত কাঁপা, মাথাব্যথা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, ব্যক্তিত্বে সূক্ষ্ম পরিবর্তন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্তরা উপসর্গগুলোকে তেমন একটা গুরুত্ব দেন না । সাধারণত এমআরআই বা মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান ছাড়া ব্রেন ক্যান্সার ধরা পড়ে না।
-
সার্কোমা ক্যান্সার: শরীরের বিভিন্ন টিস্যু যেমন পেশী, চর্বি, ত্বকের গভীরের কোষ, হাড় বা তরুনাস্থিতে বাসা বাঁধে সার্কোমা ক্যান্সার। প্রাথমিক পর্যায়ে এই ক্যান্সারের তেমন কোনো উপসর্গ প্রকাশ পায় না। সাধারণত, শিশুদের মধ্যেই এহেন ক্যান্সার বেশি দেখা যায়। এই ক্যান্সার সাধারণত দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ের পর বায়োপসির মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। কিন্তু অন্য কোনো পরীক্ষার মাধ্যমে সার্কোমা ক্যান্সার শনাক্ত করা যায় না।