সর্দি-কাশি সহজে দূর করার ৫ উপায়
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্কও। তাই এই সময়ে সর্দি-কাশি দেখা দিলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অনেকেই। তবে সর্দি-কাশি হলেই যে আপনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এমনটা নয়। জেনে নিন এমন পাঁচটি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে যা আপনাকে সর্দি-কাশি এবং ফ্লু থেকে বাঁচতে সহায়তা তো করবেই, পাশাপাশি বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়লে করোনাভাইরাস এমনিতেই ধারে-কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
-
মধু ও আদার রস: এটি প্রাচীনতম ঘরোয়া প্রতিকারগুলোর মধ্যে একটি। মধু ও আদার রস গলা এবং কাশির জন্য আশ্চর্য উপকার করে। এটি বমি বমি ভাব দূর করে। আদায় থাকা প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান রাইনোভাইরাসকে মেরে ফেলে সর্দি-কাশি থেকে বাঁচায়। মধুতে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ রয়েছে। এক চা চামচ মধু তাত্ক্ষণিকভাবে গলা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
-
রসুন: রসুনে অ্যালিসিন নামে একটি যৌগ থাকে, যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রোপার্টি হিসাবে পরিচিত। আপনার ডায়েটে রসুন যোগ করলে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। প্রতিদিনের ডায়েটে রসুন রাখলে তা আপনাকে আরও অনেক অসুস্থতা থেকে রেহাই দিতে পারে। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। স্যুপের সঙ্গে রসুন অন্তর্ভুক্ত করেও খেতে পারেন।
-
ভিটামিন সি: আমরা সবাই জানি যে ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লেবু, কমলা, সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল ইত্যাদি ভিটামিন সি এর সহজলভ্য কযেকটি উৎস। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে তা সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন সি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং অন্যান্য অসুস্থতা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
-
মশলা চা: নাক বন্ধ থাকলে সেটি যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আদা, গোল মরিচ, লবণ এবং তুলসী পাতা চায়ের সাথে মিশিয়ে জ্বাল করে পান করলে তা সর্দি এবং কাশির জন্য দুর্দান্ত ঘরোয়া উপায় তৈরি করে।
-
বিশ্রাম: শারীরিক কার্যকলাপ আসলে আপনার দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। অসুখ কমতে শুরু করলে আপনার বিশ্রাম নেয়া উচিত। বিশ্রামের মতো প্রতিকার নেই। দ্রুত সুস্থ হতে প্রচুর তরল পান করুন।