এই সময়ে মোবাইল বেশি ব্যবহার করলে যেসব ক্ষতি হবে
এখনকার দিনে মোবাইল আসক্তি মারাত্মক নেশার নাম। বিশেষ করে করোনার দিনগুলোতে সারাক্ষণ হাতে মোবাইল, ঘাড় নাচু, চোখ স্ক্রিনে নিয়ে আছেন। এ দিকে মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে হাতের আঙুল আড়ষ্ট হয়ে পড়ছে, ঘাড় ঘোরাতে গেলেই টান ধরছে। জেনে নিন
-
দিনভর মোবাইল হাতে থাকলে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যায়।
-
একনাগাড়ে মোবাইলে কথা বললে ঘাড়ে ও কাঁধে ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে।
-
বেশি সময় মোবাইল হাতে থাকলে মাইগ্রেন ও মাথা ব্যথার আশঙ্কা থাকে।
-
অনবরত মোবাইলে মেসেজ বা সোশ্যাল সাইটে লেখালেখি করলেও হাতের কবজি ও আঙুলে ব্যথা হতে পারে।
-
ব্রিটেনের হ্যান্ড ও এলবো সার্জন রজার পাওয়েল ও তার সহযোগীদের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যারা দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মোবাইলে টেক্সট করেন তাদের ‘টেক্সট ক্ল’ এবং ‘সেল ফোন এলবো’ নামে আঙুল ও কব্জির সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যার নাম ‘কিউবিটাল টানেল সিনড্রোম’।
-
অনবরত টেক্সট লেখার জন্য হাতের বুড়ো আঙুল, তর্জনি এবং মধ্যমা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার হয় বলে এই আঙুল দুটির কাছাকাছি থাকা স্নায়ুর উপর বাড়তি চাপ পড়ে। এর ফলে শুরুর দিকে আঙুল অসাড় লাগে, পরের দিকে ব্যথা হয়।
-
অনেকে কনুইয়ে ভর দিয়ে মোবাইলে টেক্সট করেন বা কথা বলেন। অতিরিক্ত সময় ধরে এমন করলে হাত, কাঁধ, ঘাড় ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে।
-
রাতের অন্ধকারে নাগাড়ে মোবাইলের নীল আলোর দিকে তাকিয়ে থাকলে ইনসমনিয়া অর্থাৎ অনিদ্রার ঝুঁকি বাড়ে। একই সঙ্গে ‘সিভিএস’ অর্থাৎ ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ অর্থাৎ চোখের জল শুকিয়ে গিয়ে বারে চোখের সংক্রমণ হয়, চোখ কড়কড় করে।
-
কিউবিটাল টানেল সিনড্রোম’ হলে হাতের যন্ত্রণা প্রচণ্ডভোগায়। এক্ষেত্রে এলবো প্যাড ব্যবহার করার পাশাপাশি কনুইয়ে চাপ দেয়া কমানোর পরামর্শ দেয়া হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করায় হাড়ের আলনা নার্ভ অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হলে সার্জারি করা ছাড়া উপায় থাকে না।
-
শুধু স্নায়ুরোগই নয়, মোবাইলের নেশা এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে না এলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিও কম নয়।